8 Agrohayon 1431 বঙ্গাব্দ ০৯-১২-২০২২
Home / শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি / মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে না’গঞ্জে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে না’গঞ্জে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে শিক্ষা বাণিজ্য ও সংকোচন বন্ধ এবং স্বৈরতন্ত্র ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াকু ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সরদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নাছিমা সরদার, সংগঠক তানজিলা আক্তার প্রমূখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৬২ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর আইয়ুব শাহীর শিক্ষা সচিব এস এম শরিফের শিক্ষা কমিশন তথা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শিক্ষার সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছিলো মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লা, সুন্দর আলীসহ নাম না জানা আরো অনেকে। সেই থেকে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ এই দিনটাকে শিক্ষা দিবস হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে পালন করে আসছে এবং তারই সাথে শিক্ষা দিবসের ৬১ বছর পূর্তি হবে। কিন্তু স্বাধীনদেশের শাসকগোষ্ঠীর শিক্ষাসংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি একই থেকে যায়। স্বাধীনদেশের শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করলে এ চিত্র দেখা যাবে। ১৯৭২ সালে কুদরত-ই খুদার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। শিক্ষানীতির শুরুতে কিছু ভালো কথা থাকলেও শিক্ষা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি একই থেকে যায়। সেখানেও শিক্ষা সর্ম্পকিত বক্তব্য ছিলো শিল্পে মূলধন বিনিয়োগকে আমরা যে নজরে দেখি অনেকটা সেই নজরে শিক্ষা বাবদ অর্থ ব্যয়কে দেখার যৌক্তিকতা প্রতীয়মান হয়। অর্থাৎ শিক্ষাকে ক্রমাগত ব্যয়বহুল ও সংকুচিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষা সংকোচনের এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয়, যার ধারাবহিকতা এখনও বিদ্যমান। এর সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে শিক্ষা বাণিজ্যের নতুন নতুন নমুনা। বর্তমানে দেশের মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৫ ভাগই বেসরকারী। শিক্ষার মর্মবস্তুকে ধ্বংস করে করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকীকরণ। প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী ও ৫০ লাখ শিক্ষক। এর প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনই আজ বির্পযস্ত ও অনিশ্চিত। আজকে এই অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষা পেতে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছে শির্ক্ষাথীরা। শিক্ষা উপকরণের দাম এবং খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে ব্যাপক শিক্ষার্থী ঝড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে, বেড়েছে বাল্যবিয়েও। অন্যদিকে শিক্ষাকে পণ্যে পরিনত করেছে, টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতিতে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। এই নীতিতে যদি চলতে থাকে তাহলে অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়বে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা বাণিজ্য ও সংকোচন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ ও বেসরকারীকরণ বন্ধ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ হলো বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সবচেয়ে ধনী জেল্ধাসঢ়; অথচ এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য দেহ মনে বিকশিত হওয়ার জন্য শিক্ষা নিয়ে কোন ধরনের আয়োজন নেই। এখানে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। কিন্তু এখানে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়নি। নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান।

আরও পড়ুন...

মহিলা পরিষদের কেন্দ্র পরিচালিত “জেন্ডার, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন বিষয়ক সার্টিফিকেট (১৪তম) কোর্স”- এর মাঠকর্ম অনুষ্ঠিত

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপ-পরিষদের উদ্যোগে …