জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে না’গঞ্জ সদর থানা কৃষকলীগের দোয়া ও বস্ত্র বিতরণ

শনিবার ২৬শে আগষ্ট দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু চত্বরে সদর থানা কৃষকলীগের সভাপতি কাশেম সম্রাট’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রানা আহমেদ’র সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল।

প্রধান অতিথি চন্দন শীল বক্তব্যে বলেন, ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় একটি দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সাহসী কৃতিত্বের জন্য তাকে জাতির জনক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি করার জন্য তিনি যে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন তা বিশ্বের কাছে পরিলক্ষিত। ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় সোনার অক্ষরে লিখিত তার এই কৃতিত্বের ইতিহাস। কিন্তু এই মহান নেতাকে অকালে মৃত্যু বরণ করতে হয় বিশ্বাসঘাতক বিপথগামী সেনাসদস্যদের অতর্কিত আক্রমণে। যার ফলে নিহত হোন জাতির জনক ও তার পরিবারের ১৬ জন সদস্য। ঐ রাতটি ছিল বাঙ্গালী জাতির জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখজনক ও ভয়াবহ রাত্রি। যেই দিনটির কথা আজও ভুলতে পারেনি বাংলার মানুষ। সভাপতির বক্তব্যে কাশেম সম্রাট বলেন, ৭৫ এ যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তাদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তাই সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। আমরা যদি, সকলে সম্মিলিতভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাই তাহলে আজকের এই দিবস পালন করা সফল হবে। আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক (পিপি) এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, সদস্য সচিব মোঃ শাহ জামাল খোকন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহম্মেদ, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজ মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক এবিএম আজহারুল ইসলাম, গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা, সদর থানা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ রফিক মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল আহমেদ সানি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।