নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম আদারপাড়া গ্রামে গভীর রাতে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশে ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় একটি বিবদমান পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যের হাতে থাকা রাইফেল ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার উপর্যুপরি আক্রমণে পুলিশ সদস্যরা পিছু হটে পার্শ্ববর্তী বাজারে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সহায়তায় ছিনিয়ে নেওয়া রাইফেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আটজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাড়াশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত কুমার বাদী হয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার ও ১০ জন পলাতকসহ আরো ১৫/২০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন হাজি সেরাজ, জমশেদ, মোকসেদ, নুরুজ্জামান,সোলায়মান আলী, মানচু বেগম ও জাহানারা খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার আদারপাড়া গ্রামে নাগার পুকুর নামে একটি জলাশয় মৎস্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন স্থানীয় সুফলভোগীরা। এসব সুফল ভোগীদের মধ্যে সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খয়বর গ্রুপের সাথে হাজি সেরাজের গ্রুপের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ দরবারও হয়। কিন্তু ঘটনাটি মীমাংসা না হওয়ায় উভয় পক্ষই ওই পুকুরে মাছ ছাড়েন।
বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ভোর আনুমানিক ৩ টার সময় থানার ডিউটি অফিসারকে তালম পদ্মপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম ফোন করে পুকুরে মাছ ধারা নিয়ে সংঘর্ষের কথা জানান। এ সময় এলাকায় নাইট ডিউটিতে থাকা এসআই দেবব্রত কুমার সঙ্গীয় চারজন ফোর্স নিয়ে ভোর ৪ টার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হাজি সেরাজের গ্রুপ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ ঘটানায় পুলিশ কনস্টেবল সনাতন কুমার ও ফিরোজ আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তালম ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হামিদ বলেন, হামলার সময় পুলিশের একটি রাইফেল ছিনতাই হয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ আসলে আমরা খোঁজাখুঁজি করে পুকুর পাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্রটি পাওয়া গেলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলা হয়, শুধুমাত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লাপাড়া সার্কেলের এএসপি অমৃত সূত্রধর বলেন, পুলিশ ইতিমধ্যেই ৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি চলছে।