নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, শিক্ষা উপকরণসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম কমানো, ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করা, কাঠামোগত হত্যা বন্ধ ও নারায়ণগঞ্জে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করার দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার
উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ৪ মে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট সময় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ছাত্র সমাবেশ ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ছাত্রনেতা মুন্নি সরদারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের কোষাধ্যক্ষ চিত্রা ঘোষ পরমার সঞ্চালনায় ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ রাতুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন শহর সংসদের সভাপতি ইফাত ইমতিয়াজ অয়ন্ত, জেলা সংসদের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আবির হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার অর্থ সম্পাদক নাছিমা সরদার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য তিলোত্তমা ইতি প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ জুড়ে সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিস্ট, মানবধিকার কর্মীসহ জনগনের কন্ঠ রোধ করতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে গ্রেফতার, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন করেই যাচ্ছে। ২০১৮ সালের ১ম অক্টোবর সরকার তার শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রনয়ণ করেন। এই আইন প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে দুই হাজারের অধিক মামলা হয়েছে। যার অধিকাংশই হয়েছে সাংবাদিক, লেখক, রাজনৈতিক কর্মীদের নামে। সিজিএস এর একটি রির্পোটে প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে রাজনৈতিক নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪০৩ জন ( ৩১ শতাংশ ) দ্বিতীয় অবস্থানে আছে গণমাধ্যম কর্মী যার সংখ্যা হচ্ছে ৩৫৫জন, এর পরে আছে শিক্ষার্থী যা সংখ্যা ১১৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে এই মামলার অধিকাংশই বাদী হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের সাথে যুক্ত। অনেক ক্ষেত্রে গভীর রাতে সাদা পোশাক পরা ডিবি পরিচয় দিয়ে গ্রেফতার করে আনার পর এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এই সরকার সাধারণ মানুষের কথা বলার অধিকার ধ্বংস করার জন্য সকল ধরণের আয়োজনে নেমেছে। ২০২৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহুর্তে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেন যাতে তারা দিনের ভোট রাতে করতে পারেন এবং তাদের ভোট চুরির কথা বলতে না পারে। তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন,সারাদেশে শিক্ষা উপকরণসহ সকল ধরণের নিত্যপণ্যের দাম ছাত্র- জনতার নাগালের বাহিরে চলে গেছে। সকল শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। একদিকে সাধারণ মানুষের আয় কমছে আরেক দিকে ব্যায় অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সারাদেশে সরকারের অনিয়মের কারণে কাঠামোগত হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে চলছে প্রতিনিয়ত। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ দ্বারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি’র নামে টাকা নেয়া হয়।
নেতৃবৃন্দ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা, শিক্ষা উপকরণসহ সকল নিত্যপণ্যের দাম কমানো, কাঠামোগত হত্যা ও নারায়ণগঞ্জে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করার জোর দাবি জানান।