নিউজ ব্যাংক ২৪, নেট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান বলেছেন, আমাদের হয় আন্দোলন করতে হবে, না হয় মরতে হবে। আমাদের বিকল্প কিছু নেই। পাখির মতো গুলি করে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে।
রবিবার ৮ জানুয়ারি দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডস্থ তাজমহল চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবী ও রাষ্ট্র কাঠামোর মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পেছনে এখন অত্যাচারী সরকার আর সামনে রয়েছে কারাগার। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হলে দেশকে মুক্ত করতে হবে। যদি আমরা আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে না পারি তাহলে আমাদের নেত্রী মুক্ত হবেনা। দেশনেত্রী সারা বাংলাদেশ গনতন্ত্রের প্রতীক। তিনি গৃহ কর্ম থেকে বেড়িয়ে রাজনীতিতে তার স্বামী জিয়াউর রহমানের আদর্শ, গনতন্ত্র সমৃদ্র বাস্তবায়নে সারাটা জীবন চেষ্টা করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী কখনো আপোষ করেননি যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়েছেন তাদের সঙ্গে। শুধু নেত্রীই মুক্ত হবে না যদি আমরা নির্দলীয় নির্বাচন করতে না পারি আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্বাসনে থাকতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র থাকবে না। আমরা যদি দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন না করি তাহলে বাঁচানো সম্ভব নয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য-৪ আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দরা। আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপু, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, জুয়েল আহমেদসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭টি থানা ও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অঙ্গসংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা।
সভাপতির বক্তব্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, আওয়ামী আমাদের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমন চালিয়ে আমাদের দমানোর চেষ্টা করছে। এখানকার অনির্বাচিত সংসদ সদস্য বলছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং মাদক যাতে না থাকে তার জন্য তারা দিন তারিখ দিয়ে নামতে চায়। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ১৪ বছর অবৈধ মাদকের ব্যবসা করে কোটি টাকা কামিয়ে আমাদের সন্তানদের নষ্ট করে, আজ কিসের দিন তারিখ দিচ্ছেন?
তিনি বলেন, এ ১৪ বছর প্রশাসনে কি বিএনপি ছিলো? যে বিএনপি এ মাদকের ব্যবসা করেছে। আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে সরকারি দলের কারণে। তারা এমন কর্মকান্ড করেছে যার জন্য আজকে জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না। আসলে জনগণ তাদের প্রতি আস্থাশীল না। আমরা যে দাবী দাবাগুলো উদ্যাপন করি সেগুলোকে তারা তীব্র ভাবে সমালোচনা করে। তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আমাদের গুলোকে এভাবে প্রচার করে। আওয়ামী লীগ নিজেদের ভুল গুলো সংশোধন করে নিলে আমাদের আর আন্দোলন করতে
হয় না। আমরা নারায়ণগঞ্জে একটা সুস্থ ধারার রাজনৈতিক করতে চাই। আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের কাজে যেনো জনগণ ভরসার স্তর হয় সেটার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় এ সরকারের সময় যা অন্যায় কাজগুলো তারা করেছে, যেগুলো তাদের ব্যর্থতা আছে সেগুলো নোট করে আপনারা আসেন। আমরা সবাই নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে তুলে ধরি। আর আমরা কি করতে চাই সেগুলোও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।
আমরা সবাই যাকে রাষ্ট্রের জন্য স্বপ্নে দেখি যিনি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন।