নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নিত্যপণ্যের দাম কমানো ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে বাম জোটের সমাবেশ ও মিছিল।
১. সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙ্গেঁ দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও
২. চাল,ডাল,তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমাও। রেশনিং চালু কর
৩. বিদেশে পাচারকৃত অর্থ, কালো টাকা ও খেলাপী ঋণ উদ্ধার কর
উপরোক্ত তিন দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার উদ্যোগে রবিবার ২৭ নভেম্বর ’২২ বিকাল ৪ টায় ২ নং ঢাকেশ্বরী বাস স্টান্ডের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবির সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সিপিবি জেলার সদস্য আব্দুল হাই শরিফ, বাসদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সমন্বয়ক সেলিম মাহমুদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, সহ-সভাপতি নির্মল বর্মণ প্রমুখ ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের ফ্যাসীবাদী শাসনে জনজীবন বিপর্যস্ত। দূর্নীতি, দলীয়করণ, লুটপাট করছে সর্বত্র। তথাকথিত উন্নয়ণের ডামাঢোলের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের কান্না। চাল, ডাল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। শতকরা ৬৮% মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। গ্রাম-শহরের গরীব মানুষ বাচঁতে প্রয়োজন রেশনিং ব্যবস্থা চালূ করা। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১২থেকে১৫% বেড়েছে। আর সরকার বাড়িয়েছে ৪২% থেকে ৫১%। এখন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। অথচ গত ১২ বছরে রেন্টাল-কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৮৬ হাজার কোটি টাকা সরকার দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন সরকার শর্তের বিনিময়ে আই এম এফের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে অথচ প্রতিবছর দেশ থেকে ৭০০ কোটি ডলার যে পাচার হচ্ছে তা ঠেকাতে পারছে না। গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ অবলোপনের ঘোষণা করেছে। যদি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও ব্যাংক ডাকাতদের কাছ থেকে ঋণ উদ্ধার করতে পারতো তাহলে সামান্য কিছু টাকার জন্য আই এম এফের কাছে ধর্ণা দিতে হতো না। বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালে আগের রাতে ভোট করে ক্ষমতায় আসে। আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য ক্যারিকেচার শুরু করেছে। সরকারের পরিকল্পনায় নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএম এ নির্বাচনের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকার ইভিএম কেনার জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। নেতৃবৃন্দ দলীয় সরকারের অধীনে নয়, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।