নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যার পিছনে এডভোকেট সাখাওয়াতের ষড়যন্ত্র আছে। কারন সেদিন আমাদের (বিএনপি)’র কর্মসূচি ছিলো ১১ টায়। কেন আমরা আসার আগেই তোমরা গুটি কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচি শুরু করলে। সবাই এক সাথে থাকলে নেতাকর্মীদের ঢলের কাছে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হতো বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল।
গত শনিবার ১২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তোমাদের হাতে কখনই বিএনপি নিরাপদ না। তাই আমি আহবান করবো এখনও সময় আছে পদত্যাগ করে ক্ষমতাশীনদের ছত্রছায়া থেকে বিএনপির পতাকা তলে এসে জিয়ার সৈনিক হয়ে তার আদর্শকে বুকে লালন করে রাজনীতি করো। দেখবে বিএনপি নেতা ও কর্মীরা তোমাদেরকে সম্মান করবে। রাতের আধারের ভোটচোর সরকার ও তার মন্ত্রীরা বলে জনগণ তাদের পাশে আছে। তাহলে আমার প্রশ্ন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে আপনাদের এতো ভয় কেন? কারন একটাই আপনারা জনবিচ্ছিন্ন সরকার। আপনারা এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে দেশকে তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিনত করেছেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিলে আপনাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তাই বিগত নির্বাচন গুলোর মত নিল নকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। তোমরা নেতাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পদ পদবির লোভ দেখিয়েও কোন সাড়া না পেয়ে রিক্সাওয়ালা, ঠেলাগাড়ি ওয়ালের কমিটিতে রাখতে চাইছো। আর যারা মামলার হামলার শিকার হয়ে জেল জুলুম সহ্য করেছে, তাদেরকে বাদ দিতে চাইছো।আবার কমিটি পেয়ে এ্যাড. সাখাওয়াত বলে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির অবসান ঘটেছে। যাদের দিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির প্রতিষ্ঠিত তাদের নিয়ে মন্তব্য করেছো। তোমাকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কারন কখনই তোমরা বিএনপি ঘরের ছিলা না। কারন দলের টিকেট নিয়ে ক্ষমতাশীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দল ও নেতাকর্মীদের সাথে বৈঈমানী করেছো।
ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে কৌশলে বাধা সৃষ্টি করে ১ দিনের কর্মসূচিতে ৩ দিনে রুপান্তরিত করেছে। মনে রাখবেন ১৪ বছরে বিএনপি নেতাদের উপর জুলুম করে রাজপথ থেকে সড়াতে পারনি। উল্টো তারা নির্যাতিত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে।এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপনাদের অবৈধ ক্ষমতা থেকে টেনে হেচড়ে ক্ষমতা থেকে সড়াবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্যান্য জেলার নেতাদের সমাবেশে যাওয়ার জন্য সকল ধরনের সহযোগীতা করবো এবং আামরা রাজপথে থাকবো। কোন বাধাই আমাদের পিছু হটাতে পারবে না।
সভায় মহানগর বিএনপির নেতা হারুন জামালের সভাপতিত্বে এবং আবুল কালাম আজাদ ও আনোয়ার মাহমুদ বকুলের সঞ্চালনায় এই প্রস্তুতিমূলক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদ, মনিরুজ্জামান মনির, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শরিফুল ইসলাম শিপলু, নগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, মহানগর বিএনপির সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু, মহানগর জিয়া মঞ্চের আহবায়ক রানা মুজিব, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বাবুল আহম্মেদ, ইকবাল হোসেন, যুবদল নেতা মনির হোসেন, জুলহাস,শহীদ হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর, শ্রমিক দলের নেতা আবু হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।