নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
র্যাব-১১,আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন তারাবো এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জনমনে ত্রাস ও ভয়ভীতি সৃষ্টিকারী দুর্র্ধর্ষ
কিশোর গ্যাং “সজিব বাহিনী” এর ৫ সদস্য ১। মোঃ সজিব হোসেন, পিতা- মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাং- হোগলটোহরী, থানা- লক্ষীপুর, জেলা- লক্ষীপুর, এ/পি- সাং- তারাবো
দক্ষিন পাড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২। মোঃ সুজন, পিতা- মোঃ জসিম, সাং- শাসনগাছা, থানা- বুড়িচং, জেলা- কুমিল্লা, এ/পি- সাং- তারাবো হাট্টিপাড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৩। মোঃ রনি, পিতা- মোঃ মোজাম্মেল, সাং- তারাবো দক্ষিন পাড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ৪। মোঃ সোহেল মিয়া, পিতা- মোঃ সেলিম মিয়া, সাং- বাগলপুর, থানা- বাজিতপুর, জেলা- কিশোরগঞ্জ, এ/পি- সাং-তারাবো দক্ষিন পাড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ ও ৫। মোঃ খবির, পিতা- মোঃ তাহের ইসলাম, সাং- তারাবো হাট্টিপাড়া, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জদেরকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বয়স ১৯ হতে ২০ বছর। গ্রেফতারের পর তাদের তল্লাশি করে ১টি চাপাতি, ২টি গিয়ার সুইচযুক্ত ধারালো চাকু, ১টি স্টীলের কাটারি এবং ১টি সীজার (কাঁচি) উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা নিজেদেরকে কিশোর গ্যাং “সজিব বাহিনী” এর সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা সবাই দুষ্কৃতিকারী ও কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে তাদের প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের ঘায়েল করার জন্য শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শন করার জন্য তারাবো বালিরমাঠে চাপাতি, সুইচগিয়ার চাকু, স্টীলের কাটারি, সীজার(কাঁচি) সহ একত্রিত হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ
হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও জনমনে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তারা ৫ থেকে ৭ জনের একটি গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় রূপগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব ১১, সিপিএসসি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে বর্ণিত কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের সকল আলামত সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।