আরো খবর
নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা থেকে মাত্র ১০ মিনিট পায়ে হাটার দূরত্বে অবস্থান রূপালি ও আমিন আবাসিক এলাকা। আর এই দুটি এলাকা চলছে ইসলাম ও নিজাম সিন্ডিকেটের অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বাণিজ্য। তাদের কাছে সংযোগ প্রতি ৫০ হাজার টাকা দিলেই মিলে অবৈধভাবে গ্যাস লাইন ব্যবহার করার সুযোগ।
সূত্রমতে জানাযায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলাধীন
বাবুপাড়া এলাকার হামদু মিয়ার মেয়ের জামাই ইসলাম ওরফে বাতাকাইন্দা ইসলাম ও সালেহনগর এলাকার নিজাম সহ প্রায় ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট শুধু রুপালি আবাসিক এলাকাতেই নয় এরা আহম্মদ জুট টেক্স, আমিন আবাসিক সহ আশেপাশের আরও এলাকাতেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে থাকে।
সম্প্রতি গত ১৮ এপ্রিল রাতে ইসলাম ও নিজাম সিন্ডিকেট পুনরায় রুপালি আবাসিক এলাকার সেলিম, লিটন, মোল্লার বাড়ি ও প্লট সহ মোট অবৈধভাবে ৫টি ও আমিন আবাসিক এলাকার এক প্রবাসীর বাড়িতে ১টি গ্যাস সংযোগ প্রদান করে ৬টি সংযোগ হতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। অবৈধ সংযোগ নেওয়া ছয়টির মধ্যে তিনটি হচ্ছে হচ্ছে ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ি। এছাড়াও অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীরা বছরে দুই থেকে তিনবার ঈদ ও পূজা পার্বণের সময় এই গ্যাস চোর সিন্ডিকেটকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে থাকে। আর এভাবেই তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে পুরো রুপালি ও আমিন আবাসিক এলাকায় গ্যাস চুরির মহোৎসব।
অপরদিকে বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার কারীদের কারণে প্রয়োজন মাফিক গ্যাস সরবরাহের চাপ পাচ্ছে না পাইপ লাইনে। এর আগে ইসলাম একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় অবৈধ সংযোগ প্রদানের সময় এবং বন্দর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে এ বিষয়ে গ্যাস সংযোগের সময় স্পট থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে জরিমানাও করেন। এত কিছুর পরেও ইসলাম ও নিজাম তাদের অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি।
এ ব্যাপারে চোরাই গ্যাস লাইন সংযোগের হোতা ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, থানা ও ফাড়ির পুলিশ সহ অন্যান্যদের ম্যানেজ করেই আমি সংযোগ দিয়ে থাকি পারলে কেউ এসে লাইন কেটে দিয়ে যাক যদি কারও জোর থাকে।
গ্যাস চোর ইসলাম সিন্ডিকেটের দেওয়া রূপালি আবাসিক, আমিন আবাসিক, আহম্মদ জুটেক্স এ প্রায় ৩০০ শতাধিক অবৈধ গ্যাস লাইন অবিলম্বে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে উক্ত এলাকার জনগণ।