নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : সংক্রমন ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদান, করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ, সকল পোশাক শ্রমিকদের করোনা টেস্ট ও টিকার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সহ-সভাপতি হাসনাত কবীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা সংক্রমণ এটা স্পষ্ট করেছে যে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরকারের চেয়েও শক্তিশালী গার্মেন্টস মালিকরা। তাই করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রায় প্রতিদিন মৃত্যু ও সংক্রমণের নতুন রেকর্ড তৈরী হচ্ছে। সেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে লক-ডাউন ঘোষণা করলেও মালিকদের চাপে কারখানা খোলা রাখতে যেয়ে কার্যত লক-ডাউন ব্যর্থ হয়। এই প্রেক্ষিতে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিলে শিল্প মালিকরা বিশেষত গার্মেন্টস শিল্পের মালিকেরা পূণরায় কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দিতে বাধ্য করেছে। গতবছর সাধারণ ছুটির সময় মাত্র ১ মাস কারখানা বন্ধ রেখে এবং বন্ধ সময়ের জন্য শ্রমিকদের মজুরির ৩৫ শতাংশ কেটে রাখলেও গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য মাত্র ২ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। শিল্প মালিকদের করোনার ক্ষতি মোকাবেলার জন্য মাত্র ৫ শতাংশ সুদে আরো প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ করা হয়েছিল। এখন ৭ দিনের বন্ধের জন্যই গার্মেন্টস মালিকরা আরো ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবদার করছে অথচ তারা প্রায় সারা বছর ব্যবসা করেছে।
নেতৃবৃন্দ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনের চাকা সচল রাখার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকি ভাতা, করোনা টেষ্ট, টিকা এবং স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, কর্মরত কোন শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হলে কারখানা মালিককে তার চিকিৎসা এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। করোনার অজুহাতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতার কোনরকম কর্তন কিংবা শ্রমিক ছাঁটাই-শ্রমিক হয়রানি করা হলে লক-ডাউন শ্রমিকদের প্রতিবাদ আন্দোলন কে আটকাতে পারবেনা বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।