6 Boishakh 1432 বঙ্গাব্দ ০৯-১২-২০২২
Home / প্রতিবেদন / ফরিদপুর নগরকান্দায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু- পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা

ফরিদপুর নগরকান্দায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু- পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা

নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট  :  ফরিদপুর  নগরকান্দা শর্শা উত্তর পাড়ায় গত ৭ই এপ্রিল মঙ্গলবার পুকুর পাড়ে গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে শ্বশুর বাড়ীর দাবী, কিন্তু নিহতের পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে গৃহবধু কহিনূর আক্তারকে ।
প্রসঙ্গে নগরকান্দা থানায় গত ৭ তারিখ  গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যু পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা। ফরিদপুর জেলা নগরকান্দা থানায় শর্শা গ্রামের লিটন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পেশায় গাড়ি চালক সে গত ২০০২ সালে কুহিনূর আক্তার পিতা আব্দুল কাদের, গ্রাম ভাটুলিয়া, থানা তুরাগ জেলা ঢাকা, কুহিনূর আক্তারকে  পারিবারি ভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিবাহের ৫ বছরের মধ্যে কুহিনূর আক্তার ২ সন্তানের জননী হন। তবে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে স্বামী লিটন মিয়া গোপনে বিবাহ করেন। প্রায় দুই বছর পরে দ্বিতীয় বিবাহের কথা জানা জানি হয়। পরে লিটন মিয়া শশুর বাড়ির লোকজন ও দ্বিতীয় বউয়ের পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন বিচ্ছেদ করে ।
এরপর থেকে স্বামী লিটন মিয়া প্রথম বউ কুহিনূরের উপর অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে।  এমনি ভাবে চলতে থাকে কুহিনূর আক্তারের অবহেলিত জীবন যাপন।  কিছুদিন যেতে না যেতে আবার শুরু হয় কুহিনূরের উপর মানষিক অত্যাচার শুরু করেন তার বাবার বাড়ি থেকে লক্ষাদিক টাকা আনতে বলে। তারপর কুহিনূর আক্তার শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাবা ও ভাইয়ের হাত পা ধরে প্রথমে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা স্বামী লিটন মিয়ার হাতে এনে দেন।
এরপর তিন চার মাস যেতে না যেতে আবারো লিটন মিয়া তার স্ত্রী কুহিনূর আক্তারকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেন। এমনি ভাবে কুহিনূর আক্তার তার সুখের সংসারে জন্য আবার ও বাবা ভাইয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার, পচাত্তর হাজার, ষাট হাজার, পঞ্চাশ হাজার,  সত্তর হাজার টাকা এভাবে করে স্বামী লিটন মিয়ার হাতে এনে দেন।
তার পরেও লিটন মিয়ার পেট ভরেনি তার ৭/ ৮ বছর পর লিটন মিয়া তৃতীয় বিয়ে করেন সাভারে মারুফা নামে একটি গার্মেন্টসের মেয়ে । বিয়ে করার প্রায় তিন বছর পরে  বিষয়টি দুই পরিবারের মাঝে জানা জানি হয়। তখন তৃতীয় স্ত্রী মারুফা একটি ছেলে সন্তানের জননী।
প্রথম স্ত্রী কুহিনূর আক্তার তার স্বামীকে একাধিক বিয়ের ব্যাপারে বাধা দিলে কুহিনূর আক্তারের ছেলে মেয়ের সামনে স্বামী লিটন মিয়া শারীরিক নির্যাতন করতো এমনি ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে গত ৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখে লিটন মিয়ার গ্রামের বাড়িতে রাতের গভীরে একটি ফোন কল কুহিনূর আক্তারের কাছে আসে সেই  ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হয় উক্ত ৬ এপ্রিল দিনের বেলায় কুহিনূর আক্তারের সাথে তার স্বামী লিটন মিয়ার দীর্ঘ সময় ফোনালাপ হয় যা তার বড় ছেলে কৌশিক আহমেদ শুনতে পায়।
দিবাগত রাত পেরিয়ে গেলে ৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সকাল আট ঘটিকায় লিটন মিয়ার বাড়ির পাশের ডোবায় কুহিনূর আক্তারের মৃত দেহ পানিতে ভাসতে দেখতে পায় বাড়ির লোকজন,  কুহিনূর আক্তারের বড় ছেলে কৌশিক আহমেদ বলেন আমার মা আত্মহত্যা করেননি আমার মাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন হত্যা না দূর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তবে পোষ্টমডেম রিপোর্ট না আসা পযর্ন্ত কিছু বলতে পারছি না।

আরও পড়ুন...

ব্যাংক লুটের ঘটনায় হামলায় অংশ নেয় শতাধিক অস্ত্রধারী, গায়ে ছিল কেএনএফের পোশাক

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট :  বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে পৃথক ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার …