নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিরীহ ২ব্যাক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক শেখ ইলিয়াস হত্যা মামলার ৮ নম্বর এজাহারভূক্ত আসামী মিন্নত আলী ওরফে মিনা। গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে দু’টি পৃথক সময়ে উল্লেখিত ওই দুই ব্যাক্তিকে হুমকি দেয়া হয়।
এদের মধ্যে নয়ানগর গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদ খানের ছেলে মোঃ সফিউল্লাহ (৪০) ও ইলিয়াস হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী তাওলাদ হোসেন(৫৫)। হুমকির শিকার হওয়া দু’ব্যাক্তি এ ঘটনায় বন্দর থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ভুক্তভোগী সফিউল্লাহ ডায়েরীতে উল্লেখ করেন,গত ১১অক্টোবর রাতে জিওধরা এলাকায় বাড়ির ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হাতে সাংবাদিক শেখ ইলিয়াস নৃশংসভাবে খুন হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের হয়। মামলার পর পরই এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আসামীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়। ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণের জের ধরে ইলিয়াস হত্যা মামলার ৮ নম্বর আসামী মিন্নত আলী ওরফে মিনা জামিনে বেরিয়ে ৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার সময় আমাকে জিওধরা এলাকায় একা পেয়ে আমার বাবার নাম ধরে অকথ্য
ভাষায় গালমন্দ করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে মিনা আমাকে এবং আমার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয়। আসামী মিনার হুমকিতে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীণ শংকার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। অন্যদিকে ওই হুমকির ২৪ ঘন্টা পার না হতেই একই আসামী মিনার এই মামলার অন্যতম আসামী তাওলাদ হোসেনকেও সাক্ষী হওয়ার অপরাধে মঙ্গলবার রাতে হুমকি দেয়। মিনা বাহিনীর হুংকারে অসহায় সফিউল্লাহ ও তাওলাদ হোসেনের জীবন চরম শংকার মধ্যে রয়েছে।
তবে পর পর দু’টি জিডি এন্ট্রির পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশী
তৎপরতার কোন খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশী তৎপরতার অভাবে ইলিয়াস হত্যা মামলার আসামীরা একের পর এক হত্যা হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে নিরীহ লোকজনকে। স্থানীয় পুলিশের গাফিলতির কারণে নতুন কোন অনাকাংখিত ঘটনা যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশের উর্দ্ধত মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকার সর্বস্তরের জন সাধারণ।