8 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ ০৯-১২-২০২২
Home / খবর / রহিম মুন্সির টর্চার সেল! ৩জন হকারকে মালামাল সহ জিম্মি করে ১ ঘন্টা ফিল্মি স্টাইলে নির্যাতন

রহিম মুন্সির টর্চার সেল! ৩জন হকারকে মালামাল সহ জিম্মি করে ১ ঘন্টা ফিল্মি স্টাইলে নির্যাতন

নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে চাঁদাবাজদের মধ্যে অন্যতম এক আতঙ্কের নাম রহিম মুন্সি। এই শহরে কেহ ফুটপাতে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করতে হলে তাকে দিতে হয় মাসহারা। সে যেন নারায়ণগঞ্জের এরশাদ সিকদার। ফিল্মি স্টাইলে চলে তার চাঁদাবাজি। কিন্তু প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগীতায় হকারদের দেয়া চাঁদার টাকায় সে রাতারাতি হয়ে গেছে কোটিপতি।

 

বর্তমানে হকার্স লীগ জেলার সভাপতির একটি পিঠ বাঁচানো পদ নিয়ে এই রহিম মুন্সি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু তার বিরোদ্ধে ভয়ে কেহ থানায় অভিযোগ করে না। এর কারন, যে হকার তার বিরোদ্ধে অভিযোগ করবে তাকে আর পরদিন রাস্তার ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসতে দেয়া হবে না। তার পালিত সন্ত্রাসীরা ঐ হকারকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে টর্চার সেলে করবে অমানবিক নির্যাতন। তাই দিন দিন রহিম মুন্সি ব্যাপক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে নগরীর ফুটপাতে বসা এইসব হকারদের উপর।

এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে রবিবার ১৮ই অক্টোবর দুপুর ১টার সময়। রহিম মুন্সিরসহ তার লালিত হকার নামের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ বাহিনী ৩ জন হকারকে চাষাড়াস্থ সিটি হর্কাস মার্কেটের সামনে থেকে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে অপহরন করে অটোরিক্সা যোগে নিয়ে যায় নগরীর ১৩১নং বি.বি রোডস্থ হর্কাসলীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে। এদের মধ্যে মোঃ বাচ্চু (২০) পিতা- মোঃ রিপন সাং- গফুর কমপ্লেক্স পঞ্চবটিকে লোহার রড ও ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত স্ট্যাম দ্বারা প্রায় ১ ঘন্টা জিম্মি করে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন করে। অপর হকার মোঃ ইকবাল হোসেন (৩৫) পিতা- খোরশেদ আলম সাং- নাসিক ২৫নং ওয়ার্ড লক্ষণখোলা বন্দরকে ২-৩টি থাপ্পর সহ মারধর করা হয়। তাছাড়া একই সময় আরেক হকার মোঃ রনি (২২) পিতা- মোঃ জাকির হাওলাদার সাং- চাষাড়া রাম বাবুর পুকুরপাড় কে পায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে সে রক্তাক্ত আহত হয়।

এ বিষয়ে হকার ৩জন বলেন, আমরা কয়েকজন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ’র কাছে এ বিষয়ে আমরা বিচার দিয়েছি। কিন্তু থানায় কোন অভিযোগ করিনি। এর কারন অভিযোগ করলে হয়তো রহিম মুন্সি আগামীকাল আমাদের আর ফুটপাতে বসতে দিবে না। এ ঘটনায় আমরা কোন সুবিচার আশা করি না কারো কাছে।

 

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাঁদাবাজ রহিম মুন্সি সাংবাদিকদের বলেন, আমি কারে কি কমু। আমার কথা কেহ শুনে না। হেরা হেরা মারামারি করছে তো আমি কইছি বিচার করুমনে। টর্চার সেলের কথা সর্ম্পকে জানতে চাইলে সে বলেন, আমার সামনেই অফিসে এদের মারধর করছে অন্য হর্কাররা। টর্চার সেল না আমাদের অফিসে এটা। তাহলে লাঠি সোটা ও লোহার রড অফিসে আসলো কোথা থেকে ? এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে সে বলেন, আচ্ছা বিচার করুমনে।

সূত্রমতে জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা হর্কাস লীগের কার্যালয়ের নামে মূলত ঐ অফিসটি হচ্ছে হকার চাঁদাবাজ রহিম মুন্সি ও সাধারণ সম্পাদক আসাদের টর্চার সেল। তাদের এই টর্চার সেল অফিসের ভাড়া দিতে হয় নগরীর ফুটপাতে বসা সকল হর্কারদের প্রতিদিন ১শত টাকা থেকে ৩শত টাকা পর্যন্ত। না দিলে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় অফিস নামের টর্চার সেলে শারিরিক নির্যাতনের জন্য।
নগরীতে এরূপ চাঁদাবাজ সমূর্তিতে থাকলেও প্রশাসন যেন তাদের কাছে দূর্বল।

আরও পড়ুন...

বন্দরে দৈনিক বিজয় পত্রিকার ৮ম বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে আলোচনা ও কেক কেটে উৎযাপিত

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিজয় পত্রিকার ৮ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কেক কাটা …