8 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ ০৯-১২-২০২২
Home / জাতীয় / গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নাঃগঞ্জ মাসদাইরে মানব বন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নাঃগঞ্জ মাসদাইরে মানব বন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত

নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, করোনাকালে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শ্রম আইনের ২৩ ও ২৭ ধারাসহ অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিলের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শিল্পাঞ্চল শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার ২৫শে আগষ্ট বিকাল ৫ টায় মাসদাইর চৌধুরী কমপ্লেক্স এর সামনে মানববন্ধন ও এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি ও জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাহার খোকন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা দুর্যোগের মধ্যেও গার্মেন্টস মালিকরা ব্যাপক শ্রমিক ছাঁটাই করছে। সরকারের পক্ষ থেকে করোনাকালে শ্রমিক ছাঁটাই হবে না বললেও মালিকরা তার তোয়াক্কা করছে না। করোনার সময়ে গার্মেন্টস মালিকদের ৫ হাজার টাকার প্রণোদনা দেয়ার কথা থাকলেও প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা মালিকদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। করোনা মোকাবিলায় মালিকরা সরকারের কাছ থেকে টাকা নিলেও মালিকদের ইচ্ছায় করোনায় যারা কাজের বাইরে ছিল সেই শ্রমিকদের ৩৫ ভাগ টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। বর্তমান সময়ে গার্মেন্টসে ক্রেতাদের অর্ডার আসলেও মালিকরা শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তিম গার্মেন্টস, ফকির গার্মেন্টসে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। মামলার হয়রানিতে দুই কারখানায় সহ¯্রাধিক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। দীর্ঘদিনের শ্রমিকদেরও প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চাকরি হারিয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী অগণতান্ত্রিক ধারা ২৩ ও ২৭ ধারা ব্যবহার করে মালিকরা প্রাপ্য পাওনা বঞ্চিত করে শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দিচ্ছে। দেশের সমস্ত শ্রমিক সংগঠনগুলো ২৩, ২৭, ১৩(১), ১৭৯ ধারাসমূহ কালো আইন হিসাবে চিহ্নিত করে বাতিলের দাবি করলেও সরকার এব্যাপারে নির্বিকার।

শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ প্রণয়ন এবং শ্রম আইন সংশোধন ২০১৩ ও ২০১৮ প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার জাতীয় শ্রমিক সংগঠনসমূহের মতামত উপেক্ষা করে অগণতান্ত্রিক পন্থায় একতরফাভাবে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ-সহ মালিক সংগঠনসমূহের ইচ্ছা ও পরামর্শ মোতাবেক শ্রম আইন তৈরি, সংশোধন ও বাস্তবায়ন করেছে। সরকার নিজেদের শ্রমিক বান্ধব বলে দাবি করলেও বাস্তবে সরকার শ্রমিক স্বার্থ উপেক্ষা করে মালিকের সর্বোচ্চ মুনাফার স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে।

নেতৃবৃন্দ ছাঁটাই, লে-অফ বন্ধ, অবিলম্বে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ২৩, ২৭ ধারাসহ সকল শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কালো ধারাগুলো বাতিলের দাবি জানান।

আরও পড়ুন...

নতুন করে আরও ৮ হাজার রোহিঙ্গা দেশে ঢুকেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নতুন করে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ …