নিউজ ব্যাংক ২৪.নেট : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হয় নাই, উনি স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন এবং যুদ্ধ করেছেন। তিনি তার নেতৃত্ব দিয়ে এই দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধকে তরান্বিত করেছেন। স্বাধীনতার যুদ্ধের পর উনি ব্যারাকে চলে গেছেন। এরপর তিনি বীরত্বের সাথে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ এই দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। বাকশাল মানে হলো বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল থাকবে, আর সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। চারটি বাদে সকল পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। আওয়ামী লীগ ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিলো। যে দেশে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছিলো, সেই আওয়ামী লীগ সংসদে ১১ মিনিটে সেটা হত্যা করেছিলো। সেই আওয়ামী লীগ থেকে আমাদের নেতা ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর এই দেশকে রক্ষ করেছিলো। সিপাহী বিপ্লবে এই জনগণকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলো।
রবিবার (১৯ জানুয়ারী) বিকালে নারায়ণগঞ্জ হোসিয়ারী সমিতির প্রাঙ্গণে, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিল ও শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এমন একজন মানুষ, আমরা এমন একটা প্রতিষ্ঠাতার দল করি যার জন্য আমরা সব সময় গর্ববোধ করি। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে নিজেদের জাহির করেন, তারা ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাকিস্তাান হানাদার বাহিনীর কাছে শেখ মুজিবর রহমান আত্মসমর্পণ করে নিরাপদে চলে গিয়েছিলো তখন আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলো। যে সময় বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেয়ার মতো কেউ ছিলো না, সে সময় সেনা বাহিনীর এক কমান্ডার, যে শেখ মুজিবের দক্ষতার গ্লানি মুছে দিয়ে জিয়াউর রহমান বেতারে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক তখন থেকেই মানুষ বুঝে গেছে, আর সেই সময় থেকেই স্বৈরাচারী পাকিস্তানির শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, তিনি একজন দেশ প্রেমিক। জিয়াউর রহমান ১৯ দফার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সনদ দিয়েছিলো। যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে তাদের সবাইকে জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসীর একমাত্র অগ্রনায়ক হলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের জন্ম না নিলে বাংলাদেশ পেতাম না। তিনি জন্ম না নিলে আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো আদর্শ নেত্রী পেতাম না। তারা জন্ম না নিলে তারুণ্যের অহংকার, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে পেতাম না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, বরকত উল্লাহ, ফানুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক এনামুল হক খন্দকার স্বপনসহ সদর থানা, বন্দর থানা ও বন্দর উপজেলার অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।