নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ের দখল নিতে কিশোর গ্যাং হামলা করে ৪ জনকে রক্তাক্ত জখমসহ আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন আসামী এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্রমতে, সদর উপজেলার কাশীপুর বাংলাবাজার গাঙ্গুলিবাড়ী এলাকায় আলোকিত কাশীপুর নামের সোসাল মিডিয়া পেইজের নাম ব্যবহার করে একাধিক অপকর্মের মূলহোতা ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম । সে এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণসহ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়ের পৃষ্ঠপোষক।তার বিরোদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সে বাংলাবাজার এলাকায় মূলত ভদ্রবেসের আঁড়ালে অস্ত্রধারি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে এলাকায় আদ্যিপত বিস্তার করার বিভিন্ন সময় বিশৃংখলা তৈরি করে সমাজে। ভদ্রতার আঁড়ালে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল কাশীপুর এলাকার ভালো পরিবারের বিনা অপরাধী কিশোরদের সন্ত্রাসী ও কিশোরগ্যাং বানিয়ে দেয় তার নিজস্ব ব্যবহৃত পেইজে। সম্প্রতি সে গত ২৪ মার্চ রাত আনুমানিক ৯ টা ৪৫ মিনিটে সময় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মোঃ মেহেদী হাসান নামের এক নিরহ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে কিশোরগ্যাং দ্বারা দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা করে কোমড়ের হাড় (মেরুদন্ড) ভেঙ্গে দিয়েছে।আহত মেহেদী হাসানের সাথে শহিদুল মিয়ার কোন পূর্বশত্রুতা বা প্রতিহিংসা ছিলো না। কিন্তু কি কারনে এই হামলা করা হয়েছে আদো জানে না আহত মেহেদী হাসানের পরিবার। এই ঘটনায় প্ররিপ্রেক্ষিতে আহত মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কুখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল সহ তার নিয়ন্ত্রিত কিশোরগ্যাংকে কোন প্রশাসন গ্রেফতার করেনি।এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার পর বিবাদী ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল তার আঙ্গাবহ কিশোরগ্যাং নিয়ে আরো ইর্ষানিত হয়ে গত ২৭ মার্চ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টা ১০ মিনিটে ৫০/৬০ জন লোক নিয়ে আহত মেহেদী হাসানের বন্ধু ইয়াসিন, ফাহিম, জসিম ও কাজলের উপর পূনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ফ্লিমি স্টাইলে হামলা করে রক্তাক্ত আহত করে। হামলায় আহত ইয়াছিনের মাথায় ধারালো চাপাতির কোপে ১২টি সেলাই পড়ে, তাছাড়া বাম হাতের দুইটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায় এবং বর্তমানে তার হাতে লোহার রড দিয়ে রেখেছে চিকিৎসক। এছাড়াও ফাহিম, জসিম ও কাজল তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হয় সন্ত্রাসীদের হামলায়।
এ হামলার ঘটনায় কিশোরগ্যাংয়ের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম (৩৮) , রফিক (৩০), সিয়াম (২৩) সর্বপিতা- আজগর আলী, রিফাত (২৬) পিতা- কদু মিয়া, বড় জুয়েল (৩২) পিতা- বজরুল রহমান, মনু (৪০) সহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী অংশগ্রহণ করেন। তারা মূলত হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা পরিচালনা করেন। যার একটি ভিডিও গণমাধ্যমে এখন ভাইরাল হয়েছে।
কিন্তু অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয়, উপরোক্ত সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম নিজ হাতে ভুয়া ও বানোয়াট বেন্ডেজ করে উল্টো মিথ্যা হামলার জেরে মানব বন্ধন করেছে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে।প্রকৃত অপরাধীদের আঁড়াল করতে দূরন্ত ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে প্রতিনিয়ত। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম উল্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করছে আহতদের সন্ত্রাসী বানাতে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কামরুজ্জামান জানান, হামলার ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত চলছে, আশাকরি অতিদ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত বাম হাতের ২টি আঙ্গুল হারানো ইয়াছিন জানান, আমার সাথে কারও পূর্বের কোন শত্রুতা নেই। তারপরও কোন সুস্থ্য মানুষ কিভাবে দেশীয় অস্ত্র দা, চাপাতি, ছুরি, লোহার রড, লাঠি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে এরূপ হামলা করতে পারে আমি তার সুষ্ঠ বিচার প্রার্থনা করি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, র্যাব ও পুলিশের কাছে।