নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় এসেছেন দেশটির রানী জেটসুন পেমা। তিনি কেবল রাজবংশের সদস্যই নন, তার দেশে তিনি ড্রুক গিয়ালতসুয়েন বা ড্রাগন কুইন নামেও পরিচিত।
স্থানীয় ভাষায় ভুটানকে ড্রুকইউল বলা হয়ে থাকে, যার অর্থ ‘দ্য ল্যান্ড অব থান্ডার ড্রাগন’ বা বজ্র ড্রাগনের দেশ। আর দেশটির রানীকে বলা হয় ড্রুক গিয়ালতসুয়েন (ড্রাগন কুইন)। জেটসান পেমা দেশটির ৫ম রানী।
১৯৯০ সালের ৪ জুন ভুটানের এক অভিজাত পরিবারে জন্ম জেটসুন পেমার। তার বাবা ধন্দুপ গিয়ালতসেন ভুটানের ড্রুক এয়ারের পাইলট। মা অম সোনাম চোকির পরিবারেরও রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় পেমার পড়ালেখা শুরু হয় থিম্পুর একটি স্কুলে। এরপর তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পংয়ের সেন্ট জোসেপ’স কনভেন্ট থেকে আপার সেকেন্ডারি সম্পন্ন করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনের রিজেন্ট’স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি মনোবিজ্ঞান ও শিল্প ইতিহাস বিষয়ও তার অধ্যয়ন করেন।
মাতৃভাষা জংখার পাশাপাশি ইংরেজি ও হিন্দিতেও সমান তালে পারদর্শী এই রানী। রাজমর্যাদার ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও পেমা সরল জীবনযাপনই বেশি পছন্দ করেন। আচার-ব্যবহারেও বেশ নম্র স্বভাবের তিনি। সবসময়ই তিনি তার লোকেদের কথাই ভাবতে ও তাদের জন্য কাজ করতে পছন্দ করেন।
কিশোর বয়সে পেমা বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন।
২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর ২১ বছর বয়সে রাজা জিগমে খেসার নাগমিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রানী হিসেবে পেমা তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ, নারী স্বাস্থ্য ও গ্রামীন অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলো নিয়েও কাজ করছেন। সেই সঙ্গে ভুটান রেড ক্রস সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।