নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, হিংসা বিদ্বেষ ছেড়ে দিয়ে সিয়াম সাধনায় সকলকে ব্রত হতে হবে। তিনি বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে মাহে রমাযান আমাদের মাঝে এসেছে। রমাযান মাস ক্রমেই চলে যাচ্ছে। রহমতের দশ দিন শেষ পর্যায়ে। আমরা কতটুকু সিয়াম সাধান করতে পেরেছি তা হিসাব করার সময় এসেছে। রমাযানের মূল লক্ষ্য হাসিল করতে না পারায় আমরা দিন দিন কঠিন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদেরকে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করতে হবে এবং গোনাহমুক্ত জীবন যাপনের অঙ্গীকার করতে হবে।
আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সঞ্চালনায় সুধীজনদের সম্মানে মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বিশেষ অতিথি নগর সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহ-সভাপতি মুহা. ইসমাইল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, রমজান শব্দটি এসেছে আরবি শব্দের ‘রমজ’ মূল ধাতু থেকে। এর অর্থ জ্বালিয়ে দেওয়া, পোড়ানো ও ভস্ম করে দেওয়া। বান্দা যেহেতু এই মাসে তার কুপ্রবৃত্তিসমূহ জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয়, তাই এই মাসকে রমজান বলে। গুনাহের বোঝা মাফের জন্য নিজেকে আল্লাহর অনুগত হিসেবে পেশ করার মধ্যে নিহিত রমজানের মাহাত্ম্য। রমজান হল উপবাস, প্রার্থনা ও ব্যক্তিগত প্রবৃত্তি থেকে শুদ্ধাচারের নাম। ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুসলমানরা আত্মাকে শুদ্ধ করার, স্বশৃঙ্খলা অনুশীলন করার এবং কম ভাগ্যবানদের প্রতি সহানুভূতির জন্য খাদ্য ও পানীয় প্রদান এবং অন্যান্য শারীরিক চাহিদা থেকে বিরত থাকার সুযোগ লাভ করে এই মাসে। আত্মত্যাগের এই কাজটি অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া দরিদ্রদের সঙ্গে একাত্মতার বোধ জাগিয়ে তোলে এবং সমবেদনা গড়ে তোলে, যা আজকের সমাজে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং দাতব্যতার জন্য জরুরি।
অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত সাহেব আরও বলেন, সকল প্রকার অশ্লীল ছবি ও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ রাখতে পারেনি সরকার। রমাযানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নাগালের বাইরে চলে গেছে। গরীব, অসহায় ও মেহনতি মানুষ অর্ধাহারে ও অনাহারে দিনাতিপাত করছে। এমতাবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। তিনি নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।