নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় যোবায়ের ও মাওলানা সাদপন্থীদের মতবিরোধ নিরসনের চেষ্টা চলছে। আশা করি, আগামীতে এ বিরোধের নিরসন হবে।’
সোমবার ২২ জানুয়ারী গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ফলোআপ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও কয়েক ধাপে নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে দুই পর্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে পাঁচ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে যথানিয়মে দ্বিতীয় পর্বে সাদপন্থীদের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করা হবে।’ তবে গত বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে ময়দানের আসবাব ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। এ সময় তিনি ইজতেমা আয়োজক কমিটির উভয় পক্ষের শীর্ষ মুরব্বিদের ভাঙচুর ও ময়দানের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ-আল মামুন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সিটি মেয়র জায়েদা খাতুনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, তাবলিগ জামাতের জোবায়ের ও সাদপন্থীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের স্থান সংকুলান না হওয়ায় মাওলানা যোবায়ের অনুসারীরা টঙ্গীর পাশাপাশি রাজধানীর উত্তরার একটি ফাঁকা জায়গায় অবস্থান করার মৌখিক অনুমতি চান। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নাকচ করে দেওয়া হয়।
আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্বে মাওলানা যোবায়ের এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বে ভারতের মাওলানা সাদপন্থীরা ইজতেমায় অংশ নেবেন। প্রতি পর্বেই শেষ দিন আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রস্তুতির কাজ চলছে। অন্যবারের চেয়ে এবার ময়দানে আগত দেশ-বিদেশের মুসলি¬দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অধিক তৎপর থাকবে। এখন ময়দান প্রস্তুত এর কাজ প্রায় শেষের পথে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে আগত মুসল্লিদের সেবায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
প্রসঙ্গত, টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামী দুই ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আর ৪ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে নয় ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে উভয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।