নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ভিকটিম আনোয়ার হোসেন বিন্দু এর সাথে কুরবানীর চামড়া বেচাকেনা নিয়ে এজাহারনামীয় আসামীদের ঝগড়া হয়। এরই সূত্র ধরে গত ২৬ জানুয়ারি ২০০৫ তারিখে এজাহারনামীয় আসামীরা ভিকটিমকে চাপাতি ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন তাকে খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায়
মামলা নং-৩৭ তারিখ ২৭/০১/২০০৫, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন।
উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুদ (৪০) কৌশলে এনআইডি কার্ডে নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিল। আসামীর অনুপস্থিতিতেই গত ১১ জুন ২০২৩ তারিখ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা আসামী মাসুদ (৪০)’কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন সাথে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
উক্ত মামলার রায় ঘোষণার পর হতে র্যাব-১১, সদর কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মাসুদ (৪০) এর সঠিক নাম ও ঠিকানা যাচাই পূর্বক তাকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাকত আসমী মাসুদ (৪০), পিতা- শাহী সাহেব, সাং- মাসদাইর লিচুবাগ, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১৩/০৭/২০২৩ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন মাসদাইর বাজারস্থ আমান জামে মসজিদ এলাকা হতে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।