নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, এই আন্দোলনের প্রধান কথা ছিল, যেটা ৭১’র মুক্তিযোদ্ধাদের শ্লোগান ছিল বৈষম্য এবং অবিচার রোধ করা। বৈষম্যের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই ২০২৪ সালেও ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব গনঅভ্যুত্থান সম্পাদন করেছে। অভ্যুত্থান দুই রকমের হয়, সামরিক অভ্যুত্থান হয়, গনঅভ্যুত্থান হয়। আমরা কোন সামরিক অভ্যুত্থান করিনি, বাংলাদেশের মানুষ এবার গনঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদের যাতাকল থেকে দেশকে, মানুষকে এবং জাতিকে মুক্ত এবং স্বাধীন করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদের উৎখাত এবং স্বৈরাচার বিরোধী গনআন্দোলনে পরিনত হয়। ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগষ্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) বাদ জুম’আ সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোড চত্ত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যকে উৎখাত করার জন্য বিভেদের যত দেয়াল আছে সেগুলোকে ভেঙ্গে দিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সেই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে। সমাজকে নানা শ্রেনী পেশায় যে ভাবে বিভক্ত করে রেখেছে, নিজেদের মধ্যে বিবেদের দেয়াল তৈরী করে রেখেছি, যে কারণে আমরা সেই দেয়াল গুলো উতরে এক কাতারে দাড়াতে পারি না। আর এ কারনেই জালিমশালীরা সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে সুযোগ পায়।
অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী যৌক্তিক ছাত্র আন্দোলনে যে সমস্ত মহান ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন তাঁদের রুহের মাগফিরাত এবং যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের থতিব মাওলানা আব্দুল আঊয়াল এর সভাপতিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দ্বীপি, মুফতি বশিরুল্লাহ, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।