নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : কর অঞ্চল-নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক চেম্বার ভবনে ২০২২-২০২৩ কর বর্ষের সেরা করদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও কর আপিল ট্রাইবুনাল এর প্রেসিডেন্ট মোঃ নাজমুল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র সহ- সভাপতি জনাব মোঃ মোরশেদ সারোয়ার সোহেল এবং সভাপতিত্ব করেন কর অঞ্চল-নারায়ণগঞ্জ এর কর কমিশনার, মিস শারমিন ফেরদৌসী।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার ২০২২-২০২৩ কর বর্ষে সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী, সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী মহিলা ও তরুণ (৪০ বছর বয়সের নীচে) ক্যাটাগরিতে ২১ (একুশ) জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা স্মারক ও সম্মাননা সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি জনাব মোঃ নাজমুল করিম পুরষ্কার প্রাপ্ত করদাতাদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, কর বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আয়কর আহরণ বৃদ্ধির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। করদাতাগণ যাতে সহজে করের বিভিন্ন নিয়মকানুন বুঝতে পারেন সে উদ্দেশে ̈ বাংলায় আয়কর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ঘরে বসে যাতে সবাই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন সে জন ̈ অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বর্ষ প্রচলন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একটি দেশের যত বেশি কর রাজস্ব আদায় হয় তত তাড়াতাড়ি উন্নয়ন হয়।
বিশেষ অতিথি জনাব মো: মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টিধজ, তার বক্তব্যে জানান, নারয়নগঞ্জে আয়করের অনেক সম্ভাবনা আছে। সবাই মিলে আয়কর দিলে দেশের উন্নয়ন তড়ান্বিত হবে। তিনি আরো জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লেনদেনের তথ্য অটোমেটেডভাবে কর বিভাগের নিকট চলে আসে। এতে কর ফাঁকি দেয়া সুযোগ কমে। বাংলাদেশেও লেনদেনের ব্যবহার অটোমেটেড করা গেলে আয়কর বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, করদাতাগণ সমস্যায় পড়লে রাষ্ট্র থেকে যদি বিশেষ সুবিধা প্রদান করা যায় তাহলে জনগণ কর প্রদানে আরো উৎসাহী হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কর কমিশনার মিস শারমিন ফেরদৌসি জানান, সেরা করদাতার হিসেবে সম্মানতা পাওয়া অত্যন্ত গর্বের বিষয়। যারা পুনরায় পেয়েছেন তাদের জন্য কর বিভাগের আমরাও গর্বিত। তিনি জানান, করদাতাগণের সহযোগিতায় কর অঞ্চল নারায়নগঞ্জ নিয়মিত সাফল্য দেখাচ্ছে। চলতি অর্থ বছরে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি রিটার্ন পড়েছে। এই কর অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো ২০১১ সালে। তখন এখানে আয়কর আদায়ের পরিমাণ ছিলো ১০২ কোটি টাকা। এক দশকে সেই আদায় বেড়ে হয়েছে ১০৪৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ছিলো ২৩ হাজার। এখন পর্যন্ত এই কর অঞ্চলে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার করদাতা কর নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন। সম্মানিত করদাতাগণের সহযোগিতায় এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতার জন্য সভাপতি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টিধ কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। স্বতঃস্ফুর্তভাবে কর প্রদানের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল করদাতাদের এবং বিশেষ করে পুরষ্কার প্রাপ্ত করদাতাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।