নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ ও মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারি দুপুরে নাসিক ২ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের পাশাপাশি মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য ফিতা কেটে খাবারের ক্যান্টিন উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।
উক্ত স্কুলের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুলতান মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন মিয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইদুর রহমান, নাসিক ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক আবুল, আওয়ামী লীগ নেতা ও উক্ত স্কুলের দাতা সদস্য মোঃ ফজলুল হক, শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হারুনুর রশীদ ও আওয়ামী লীগ নেতা হাকিম শাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াছিন মিয়া বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এখন অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আমদের দেশ এখন স্মার্ট দেশে রুপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু অসাধু ব্যক্তি রয়েছে যারা দেশের জনগণের টাকা মেরে বিদেশে বেগম পাড়ায় তাদের বেগমদের নামে বাড়ি গাড়ি করেছেন। এই অসাধু ব্যক্তিদের তালিকায় বিএনপি- আওয়ামী লীগ দু’দলের লোকজনই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলছেন দেশে টাকার সংকট দেখা দিয়েছে ও দেশের বড় বড় ব্যাংক গুলোতে টাকা নেই। আমি বলবো এসব দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। এসব ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে আটকানো যাবে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন, শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম, চন্দন কুমার গুহ, মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্কুলের দাতা সদস্য মোঃ রহমত উল্লাহ ও থানা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ সাইদ হাসান মুন্না।
বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।
এর আগে, ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান তিনি। তারপর দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু।