নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কীভাবে সব দলকে আনা যায়, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
সোমবার ৯ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে বৈঠক করে তারা। সেসময় এ বিষয়ে দলটির মতামত জানতে চান মার্কিন প্রতিনিধিরা।
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। এজন্য আলোচনা করতে সরকারের সম্মতি দরকার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজি না হলে তা ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করব আমরা। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না- এমন কথা কখনও বলিনি। পরিস্থিতি বুঝে উদ্যোগ নেবে দল। এ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখনও সংকট কাটেনি। বিএনপি ভোট বর্জন করে আন্দোলন করলে সহিংসতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা জানতে চেয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
জি এম কাদের বলেন, নির্বাচনে কোন কোন ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়, তা জানতে চেয়েছে ইউএস প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। সেটা কীভাবে রোধ করা যায়, সেই বিষয়েও আমাদের মতামত নিয়েছে তারা। অতীতে কখন কীভাবে ভোট হয়েছে তাও জেনেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দলের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে জাতীয় পার্টি। পরে তারা জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভূমিকা থাকবে না। দেশে ফিরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন সরকারকে অবহিত করবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাসরুর মওলা, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এবং সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মো. সোহেল।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি যাচাই করতে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের সাত সদস্যের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। সোমবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে, সন্ধ্যায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। আজ আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছে দলটি। সাত দিন বাংলাদেশে অবস্থানকালে পর্যায়ক্রমে সরকারি সংস্থা, বিদেশি কূটনীতিক, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।