নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ৭ আগষ্ট ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জনমনে ত্রাস ও ভয়ভীতি সৃষ্টিকারী দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং “টাইগার গ্রুপ” এর গ্যাং লিডার সহ এর ৮ জন সদস্য ১। মোঃ হৃদয় (২৮), পিতা- মৃত শাহজাহান আলী, সাং- মইশা, পোষ্ট- ভেদাগঞ্জ, থানা- নড়িয়া, জেলা- শরীয়তপুর, এ/পি- বেন্ডিজ মিল, থানা- সোনারগাঁও, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২। শাহজালাল (২৫), পিতা- মোঃ জামান, ৩। মোঃ জুয়েল (২৬), পিতা- মোঃ জালাল উদ্দিন, ৪। মোঃ রানা (২১), পিতা- মোহাম্মদ আলী, ৫। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২০), পিতা- মোঃ আনোয়ার, ৬। মোঃ রাসেল (২১), পিতা- কামাল, ৭। মোঃ সাগর (২৩), পিতা- রুহুল আমিন, সকলেই সাং- কাঁচপুর সেনপাড়া, ইউনিয়ন- ৫নং কাঁচপুর, থানা সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৮। মোঃ রনি (২০), পিতা- আব্দুল লতিফ, সাং- মদনপুর, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জদের’কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তাদের তল্লাশি করে তাদের দখল হতে ৬টি ছোরা, ১টি সুইচ গিয়ার চাকু, ১ টি রেজর (ক্ষুর) এবং ছিনতাই করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা নিজেদেরকে কিশোর গ্যাং “টাইগার গ্রুপ” এর সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা সবাই দুষ্কৃতিকারী ও কিশোর গ্যাং “টাইগার গ্রুপ” এর সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শন করার জন্য ঘটনাস্থলে ছোরা, রেজর (ক্ষুর) ও সুইচ গিয়ার চাকুসহ একত্রিত হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও জনমনে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তারা “টাইগার গ্রুপ” এর ব্যানারে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড ও এর আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে ছিনতাই ও বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব ১১, সদর কোম্পানী এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে বর্ণিত কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের সকল আলামত সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ হৃদয় (২৮) এর ২ টি, শাহজালাল (২৫) এর ১ টি, মোঃ রানা (২১) এর ১ টি এবং মোঃ সাগর (২৩) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ০৭ টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।