নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ
আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
র্যাব-১১, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্থির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, ভিকটিম হযরত আলী (২০) তার বন্ধু মোঃ জুবায়েত ইসলাম (১৯), ২। মোঃ রিফাত (১৮), ৩। মোঃ কালা (২২), ৪। রাজিব (১৯), ৫। জামাল উদ্দিন (১৯)’দের সাথে গত ০৫/১২/২০২২ইং তারিখে সকাল অনুমানিক ৯ টা ৩০ মিনিট ঘটিকার সময় তার ভাড়াবাসা থেকে নারায়ণগঞ্জ আরটিভি লঞ্চ ঘাটে গিয়ে এমএল হাসিভ নামক লঞ্চে চড়ে বেলা অনুমানিক ১২ টা ঘটিকার সময় চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন লেংটার মেলায় ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদী বরাবর লঞ্চটি আসিলে ভিকটিম লঞ্চটির পিছনে গিয়া টয়লেট করার জন্য নদী হতে বালতি দিয়া পানি উঠানোর সময় অসর্তকতা অবস্থায় লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে যায় মর্মে পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও তার বন্ধুরা জানায়। পরবর্তীতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ গজারিয়া কোষ্টগার্ড, গজারিয়া ও কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায় গত ০৮/১২/২০২২ইং তারিখ বেলা অনুমানিক ১২ টা ৩০ মিনিট ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ চর হোগলা মেঘনা নদীর কিনারে কচুরিপানার ভিতরে একটি মৃত দেহ পড়ে আছে মর্মে ভিকটিমের বাবা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি দেখে তার ছেলে হযরত আলীর লাশ মর্মে সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রির্পোট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তের রির্পোট প্রাপ্তির পর জানা যায় ভিকটিম অসর্তকতা বসত নদীতে পড়ে মৃত্যু হয়নি। ভিকটিমের উপরোল্লেখিত বন্ধুরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলে দেয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ মরতুজ মিয়া (৬২) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোনারগাঁ থানার মামলা নং-৩৬ তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও মিডিয়ায় নানাবিধ খবর প্রচার ও লেখালেখি হয়।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সদর কোম্পানি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে নৃশংস এই হত্যার সাথে জড়িত পলাতক আসামী ১। মোঃ জুবায়েত ইসলাম (১৯), পিতা-মোঃ ফখরুল ইসলাম, মাতা-সাথী, সাং-পশ্চিম মাইজদাইর, এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ২। মোঃ রিফাত (১৮), পিতা-মোঃ সোহেল, সাং-ইসদাইর, প্রাইমারি স্কুল, ৩। মোঃ সজল (১৮), পিতা-মোঃ মিলন মিয়া, সাং-গাবতলী নতুন বাজার, সর্ব থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জদের’কে
সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অদ্য ২২ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ আনুমানিক ১২ টা ৩০ মিনিট ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন মাজদাইর এবং অক্টোপিস এলাকায় র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যা মামলার প্রধান এজাহারনামীয় আসামী মোঃ জুবায়েত ইসলাম (১৯) সহ তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ রিফাত (১৮) ও ৩। মোঃ সজল (১৮)দের’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৪টি মোবাইল, ৬টি সীম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ইনচাজর্, কলাগাছিয়া নৌ- পুলিশ ফাঁড়ি, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।