নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১,আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মোঃ সম্রাট তালুকদার স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউজ ব্যাংক ২৪ কে জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি,আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর যৌথ আভিযানিক দল শনিবার ৫ নভেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ রাতে ফেনী জেলার ফেনী সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রূপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর গৃহবধু জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি (২৩) হত্যা মামলার একমাত্র অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী মোঃ আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩২), পিতা- একে এম ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, সাং- পূর্ব গুজারা, থানাঃ রাউজান, জেলাঃ চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩২) এবং ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি (২৩) ভালোবেসে ৪-৫ মাস পূর্বে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করে। তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন মৈকুলি এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। বেশ কিছুদিন যাবৎ তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩২) তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি (২৩)’কে চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩২) গত ৪ নভেম্বর ২০২২ খ্রিঃ গভীর রাতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দ্বারা ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি (২৩)’কে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতির মা শারমিন আক্তার ডলি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ১২/৭২০ তারিখ ৪ নভেম্বর ২০২২। উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান
আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক প্রধান আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল’কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে রূপগঞ্জ থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।