নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : সম্প্রতি মহানবী সা. কে অসম্মান করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই সিনিয়র কর্মকর্তার অত্যন্ত অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র ও কঠিন ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগঞ্জ সভাপতি মুহা. নুর হোসেন ও সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ।
নেতৃদ্বয় বলেন, এই ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। রাসুল সা.কে কুৎসা করে এমন দায়িত্বহীন মন্তব্য কেবল বাংলাদেশের জনগণেরই নয়, বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিকে গভীরভাবে আঘাত করেছে।
এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিজেপির স্পষ্টীকরণের চেষ্টা এবং বিলম্বিত এবং বেপরোয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা মুসলিম বিশ্বের জন্য তারা যে বেদনা ও যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছে, তা প্রশমিত করতে পারে না। বিজেপির দুই কর্মকর্তার সম্পূর্ণ বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানরাও সমানভাবে ভারতে মুসলমানদেরকে পরিকল্পিতভাবে কলঙ্কিত করা হচ্ছে, প্রান্তিক করা হচ্ছে এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর যোগসাজশে এবং সমর্থন নিয়ে উগ্র হিন্দু জনতার একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণের শিকার হচ্ছে মুসলিমরা।
মঙ্গলবার ৭ জুন নেতৃদ্বয় এক যুক্ত বিবৃতিমূলক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপরোক্ত কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বিজেপি-শাসিত কয়েকটি রাজ্যে সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্রমাগত গুরুতর লঙ্ঘন; ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক মুসলিম বিরোধী আইন এবং সম্পূর্ণ দায়মুক্তি সহ বিভিন্ন ‘হিন্দুত্ব‘ গোষ্ঠীর তুচ্ছ অজুহাতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অব্যাহত ঘটনা এবং প্রায়শই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে ইসলামোফোবিয়া এবং চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তুলে ধরে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের নীরবতা আরও একটি প্রমাণ যে, এই হিন্দু উগ্রবাদীরা সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের প্রান্তিককরণ এবং তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করার জন্য তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের নিরঙ্কুশ সমর্থন পায়।
আমরা উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে, প্রায় সকল আরব দেশ থেকে নবীজী সা. এর কটুক্তির প্রতিবাদ করলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন নিন্দা জ্ঞাপন করে নাই। মুসলিম দেশে হিসেবে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।