নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) রাত ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আবাসিক এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরপর থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে রাবি ক্যাম্পাসের আবাসিক হলের ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে এখনও উত্তেজনা চলছে।
জানা যায়, রাবি সোহরাওয়ার্দী হলে শনিবার রাত ১১টার পর টিভিরুমে বসা নিয়ে হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে হল কমিটির সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। আতিকুর রহমান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। এ-নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের মহড়াও দেখা যায়। পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ক্যাম্পাসের বাইরে ও ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘গেস্টরুমে বসা নিয়ে প্রথমে একটু বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। পরবর্তীতে সভাপতির কয়েকজন অনুসারী এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তবে এ ঘটনায় তাঁর পক্ষের কেউ আহত হননি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশিয় অস্ত্র চার্জ হয়েছে সেগুলো আমরা শুনেছি ও দেখেছি। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরণের কোনো নমুনা আমরা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।
মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, পুলিশ চাইলেই সহজে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা তৎপর। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছি।
সার্বিক বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘হলে যে রুমগুলোতে অস্ত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছিলাম সেগুলো তল্লাশি করে আমরা কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতোল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল। ডাইনিং এর ছাদ দিয়ে তারা হল ত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই।’