নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : (বরগুনা প্রতিনিধি) : বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামে রাজহাঁসে মুগ ডাল খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের নয়া সরদারের ২০ টি রাজহাঁস আছে। ওই হাঁসে প্রতিবেশী বাদশা মিয়া পাহলানের জমির মুগ ডাল খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে নয়া সরদার ও বাদশা পাহলানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আবদুল হাই সরদার (৬০), বাদশা মিয়া পাহলান (৬২), সাগর পাহলানকে (২০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং রাকিব সরদার (১৭), মামুন সরদার (১৯), মমতাজ বেগম (৫০), সুমন সরদারকে (২৭) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে বাদশা পাহলানের অভিযোগ ঘটনার পরপর নয়া সরদারের লোকজন তার বাড়ীতে প্রবেশ করে ঘর ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহত বাদশা মিয়া পাহলান বলেন, নয়া সরদারের রাজহাঁসে আমার জমির মুগ ডাল নষ্ট করে। তাকে বহুবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি তা শুনেননি। এ নিয়ে নয়া সরদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নয়া সরদার তার লোকজন নিয়ে আমার বাড়ীতে হামলা করে আমার ঘর ভাংচুর এবং আমাকে, আমার স্ত্রী ও আমার এক নাতিকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
নয়া সরদারের ছোট ভাই জাফর সরদার বাদশা পাহলানের বাড়ীতে হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, নয়া সরদারের রাজহাঁসের ডাকে বাদশা পাহলানের ঘুম নষ্ট হয়। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বাদশা পাহলান ও তাদের লোকজন আবদুল হাই সরদারসহ চারজনকে মারধর করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।