নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে সূত্র বলছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আট জোড়া ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার যাত্রী এ পথে যাতায়াত করেন। এরমধ্যে অফিসগামী অনেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় গিয়ে নিয়মিত অফিস করেন।
সরেজমিনে কেন্দ্রীয় স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক যাত্রী এসে ট্রেনের আশায় ফিরে যাচ্ছে। অনেকে আবার বিকল্প পথে ভিন্ন রুটে গৌন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। তবে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির নানা কথা জানায় যাত্রীরা।
রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ইয়াসিন মিয়া জানান, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে স্টেশনে এসেছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রেনে ঢাকায় যাবেন। এরপর কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্য যাত্রা করবেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে ট্রেন না পেয়ে প্রথমেই বাধার মুখে পড়েছেন। ফলে গন্তব্যে যাওয়া বিপাকে পড়েছেন তিনি।
রাকিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। প্রতিদিনই ট্রেনে যাতায়াত করি। আজ এসে দেখি ট্রেন নেই। এখন দ্বিগুণ ভাড়ায় বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন আসেনি এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে কোনো ট্রেন যায়নি। কতক্ষণ কর্মবিরতি চলবে জানা নেই।
এর আগে, গত বুধবার চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন তারা।
উল্লেখ্য, রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তাঁরা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্বপালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তাঁরা। এছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।