নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন মুসাপুর ইউনিয়নে ৬০নং বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে নাসিরউদ্দিন নামে এক স্কুল শিক্ষক ও তার সহযোগীরা। নিজেদেরকে স্কুলের জমির ওয়ারিশ দাবী করে ২১ নভেম্বর সোমবার সকালে স্কুল সংলগ্নবর্তী কাঁচা রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
রাস্তাটি বন্ধ করায় বালিগাও শতাব্দী প্রাচীন জামে মসজিদে মুসল্লী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে অনেকটা পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
এ ব্যপারে সরেজমিনে গিয়ে আলাপকালে শিক্ষার্থীরা জানান,আমাদের বাসা থেকে স্কুলে আসার রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে আমরা সঠিক টাইমে স্কুলে আসতে পারছিনা। স্কুলের ৬৬ শতাংশ জায়গার মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশের উপর দু’টি ভবন হয়েছে বাকী জায়গা নাসির মাষ্টারদখল করে রেখেছেন। স্কুলের ছেলে-মেয়েদের খেলার মাঠ নেই। আমাদের রাস্তাটি খুলে দেয়া হোক। স্কুলে অনেক কষ্ট করে আসতে হয়। স্থানীয় বয়োজৈষ্ঠ মুসল্লী আব্দুল ওহাব মিয়া জানান,নাসিরউদ্দিন একজন স্কুল মাষ্টার হয়েও আরেকটি স্কুল এবং মসজিদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কিভাবে। বিদ্যা শিক্ষা থাকলেও তার মধ্যে সামাজিক শিক্ষার অনেক ঘাটতি রয়েছে। যেখানে তার বাপ-দাদারা স্কুলের নামে জমি দান করেছেন সেখানে সে দাবি করে কিভাবে? সমাজ সেবক আব্দুল খালেক বলেন,নাসিরউদ্দিন শিক্ষক নামের কলংক। সে দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলের জায়গাটি দখল করে রেখেছে। তার বিন্দুমাত্রও মানবতা নেই। তার অমানুষিকতার কারণে ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছেনা। তার মতো ব্যক্তির স্কুলে চাকুরী করে কি করে। মুসাপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং সংরক্ষিত
ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার খোদেজা খানম,জানান,নাসিরউদ্দিনের বাপ-দাদারা কিছু সম্পত্তি স্কুলের জন্য দান করে গেছের অনেক বছর আগে অথচ এখন এসে উনি সেই জায়গার ওয়ারিশ দাবি করেন। এটা পাগলামি ছাড়া কিছুই না। এই জায়গা খারিজের জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা ভূমি অফিসে কাহজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। স্কুলের দক্ষিন পাশ দিয়ে স্কুলের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী চলাচল করে থাকে। এছাড়াও
ভেতরে শত বছরের পুরনো একটি মসজিদ রয়েছে সেখানেও অনেক মুসল্লী নিয়িমত নামাজ আদায় করে থাকে। কিন্তু নাসিরউদ্দিন টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় মানুষ চলাচল করতে পারছেনা। ঘটনাটি বন্দর থানা পুলিশ জানে। তারা পরিদর্শণে এসে সবকিছু নিয়ে গেছেন। এদিকে রাস্তা খুলে দেয়ার জন্য বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম.কুদরত-এ-খুদা মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বশির আহাম্মদকে নির্দেশ দিলে সচিব আসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা খুলে দেয়ার কথা বললেও তাতে নাসিরউদ্দিন গং কোন কর্ণপাত করেননি।
বিষয়টি প্রশাসনের তদন্তপূর্ব ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে এলাকাবাসী মনে করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে বড় রকমের অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী।