বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যানজট নিরসনের লক্ষে সামাজিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিসি বলেন, ‘এমন মিটিং অনেক হয়েছে। ২০ বছর ধরে হচ্ছে কিন্তু কোনো যানজট মুক্ত হচ্ছে না। আরও ২০ বছর হলেও যানজট মুক্ত হবে না, যদি আমরা সবাই একত্রে কাজ না করি। আমি এখানে জয়েন করার পরে নারায়ণগঞ্জের যে সমস্যাগুলো শুনেছি তার মধ্যে প্রথমেই মনে হয়েছে যানজট। যানজটের সমস্যাটাকে কী করে সমাধান করবো সেটা নিয়ে প্রথম পরিকল্পনা শুরু করি।
তিনি বলেন, ‘এখানে ইজিবাইক অন্যতম সমস্যা। যদি এই ইজিবাইকগুলোকে মূল পয়েন্টগুলো থেকে ঘুরিয়ে দিতে পারি এবং ইজিবাইকগুলোকে যদি রোড অনুযায়ী কালার নম্বর করে দিতে পারি তাহলে একটা ভালো ফলাফল পেতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইজিবাইকগুলোতে রঙ করতে হবে। তাহলে লাইসেন্সের ইজিবাইকগুলো আলাদা করা যাবে। যদিও আপনারা (বক্তারা) বলছেন, ১৮ হাজার ইজিবাইক শহরে আর সিটি করপোরেশন বলছে, ৮ হাজার ইজিবাইকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
বাসমালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘চাষাঢ়া মোড়ে যাত্রী উঠানোর নামে প্রতিযোগিতা করে। এতে দুর্ঘটনারও শিকার হয়। যাত্রী কেন রাস্তা থেকে উঠাতে হবে? বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী উঠাতে হবে, নাহলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে প্রশাসন। রাত দশটার পরে শহরে ট্রাক ঢুকবে।
মীর জুমলা সড়ক ও শায়েস্তা খাঁ সড়ক দুইদিনের মধ্যে মুক্ত করতে সিটি কর্পোরেশনকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেন ডিসি। একইসাথে রাস্তা ও ড্রেনের কাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বির, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হুসাইন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সচিব নূর কুতুবুল আলম, সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্যাপ্টেন মাহফুজ, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রমুখ।