নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : বিশ্ব ব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত কোটি কোটি মানুষের পাশে রয়েছেন তাদের নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে এই চলমান করোনা পরিস্থিতিত্বে সাধারণ খেটে খাওয়া বহু মানুষ অনেকটাই দূর্বিসহ অবস্থায় দিন যাপন করছেন। দেশের সরকারের একার পক্ষে এতো বৃহৎর জনগনকে শতভাগ খাদ্য প্রদান করা সম্ভব নয়। তাই বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ করেছেন, যার যার এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং বিত্তবানরা দেশের এই দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিত্বে অসহায় এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে যেন একটু সহানুভূতি নিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু বাস্তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অনেক ওয়ার্ডে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ পাচ্ছে না দুবেলা খাওয়ার মত পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী। আবার অনেক ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় নূনতন সর্তকর্তা মূলক সচেতনার সামগ্রী ( যেমন- হ্যান্ড স্যানেটাইজার, সাবান, মাস্ক, হাত ধোয়ার বেসিং) ইত্যাদি নাগরিক সুবিধা থেকেও হচ্ছে বঞ্চিত। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে নাসিকের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ করোনা ভা্হইরাসের আক্রেরমণে শুধু নয়, ক্ষুধার জালায় অচিরেই মৃত্যু বরণ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখাযায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১৫নং ওয়ার্ডটি । এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। ১৫নং ওয়ার্ডটির গুরুত্ব এতো বেশী হওয়ার কারন অনুসন্ধানে দেখা যায় এই ওয়ার্ডটির অবস্থান নগরীর প্রাণকেন্দ্রে। এই ওয়ার্ডে নগর ভবন, জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল, সদর মডেল থানা, সর্ব উচ্চ বিল্ডিং, বাস ষ্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাট, রেওয়ে ষ্টেশন, অস্থায়ী ট্রাক ষ্ট্যান্ড, ২টি বেবী- সিএনজি ষ্ট্যান্ড, হাজার হাজার বিপনী বিতান, আধুনিক মার্কেট, সর্ব বৃহৎ হোসিয়ারী পল্লীখ্যাত নয়ামাটি, সর্ব বৃহৎ কাঁচা বাজার, জেলার প্রধান মাছের আড়ৎ, বেশ কয়েকটি খেয়াঘাট, প্রধান ডাক ঘর, র্যাব-১১ এর আঞ্চলিক কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস অফিস সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি অফিসের অবস্থান। আর এই সব ঘিরে নগরীর প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষের প্রতিদিনের আনাঘোনার অন্যতম জনপদ এটি।
সম্প্রতি মহামারি করোনা ভাইরাস করুন আকার ধারণ করায় এই ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি এলাকার মানুষ রয়েছে চরম আতংকে। কারন এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস ওয়ার্ড বাসির জন্য আশানুরূপ তেমন কোন সাফল্য দেখাতে পারেন নাই মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে। সে এই ওয়ার্ডের এমন বহু এলাকা রয়েছে যেখানে সচেতনার সামগ্রী যেমন- হ্যান্ড স্যানেটাইজার, সাবান, মাস্ক, হাত ধোয়ার বেসিং স্থাপনে এবং বিতরণে হয়েছেন ব্যর্থ। করোনা পরিস্থিতি এদেশে আঘাত হেনেছে প্রায় ২৯ দিন। বিগত প্রায় ১ মাস গত হলেও ওয়ার্ডবাসি এই কাউন্সিলরকে খুঁজে পাচ্ছে না কোন প্রকার মানবিক সহায়তায়। ক্ষোভ আর হতাশায় দিন যাপন করছে এই ১৫নং ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ। নগর ভবনের কাছে বসবাস করেও অনেকে পাচ্ছেনা নাগরিক সুবিধা এবং ত্রাণ সামগ্রী। এ যেন মগের মুলুক আবার অনেকের মতে কাউন্সিলর অসিতের মুলুক। বর্তমান দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে একজন জনপ্রতিনিধির এরূপ কর্মকান্ডে অনেকেই হতাশ। যেখানে অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা জনসেবা করছে দিনরাত সেখানে মহামারি এই দূর্যোগে কাউন্সিলর অসিতের আচরণ মনে হয় “নিজে বাঁচলে বাপের নাম”।
অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস ১৫নং ওয়ার্ডের রেলওয়ে ষ্টেশন, বাস ষ্টেশন, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাটসহ জনসমাগম যুক্ত এলাকায় কোন প্রকার করোনা মোকাবেলা ব্যবস্থায় কোন প্রকার কাজ করেনি। আর রাতের অন্ধকারে তার পছন্দের গুটি কিছু মানুষকে ছাড়া কাহকে কোন ত্রাণ সহায়তাও করেনি বলে নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক একজন ওয়ার্ডবাসি অভিযোগ করেন। তাছাড়া ১৫নং ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ গনবসতি এলাকা যেমন, র্যালী বাগান, সুইপার কলোনী, নতুন জিমখানা, খোয়ারপট্টি, নিতাইগঞ্জ নয়ামাটির মত এলাকায় কাউন্সিলর অসিত হ্যান্ড স্যানেটাইজার, সাবান, মাস্ক বিতরণ করতেও গত ১মাসে ব্যর্থ হয়েছেন। কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাসের এরূপ কর্মকান্ডে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।