নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ভারতের মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের বেদ, গীতা, রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানোর সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
রবিবার ৪ ফেব্রুয়ারী বাদ মাগরিব মাসিক সভায় তিনি বলেন, ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার নামে সুকৌশলে মুসলমানদেরকে হিন্দু বানানোর গভীর চক্রান্ত করছে। ভারত হচ্ছে বহুত্ববাদী সংস্কৃতির দেশ। সে দেশে সংস্কৃতি রক্ষার নামে মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদরাসায় হিন্দুগ্রন্থ পড়ানোর প্রস্তাব মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের নামান্তর। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুসলমানদের উপরে অন্য ধর্মের গ্রন্থ চাপিয়ে দেওয়া এটা অন্যায়। তিনি ভারতের সরকারকে মানবতার কল্যাণে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় মাসিক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি মাও. হাবিবুল্লাহ হাবিব, জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মুহা. সাইফুল ইসলাম, অ্যাসিস্টেন্ট জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব শেখ হাসান আলী, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র দাবি করলেও কার্যত তারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে না। তারা মুসলমানদেরকে দমিয়ে রাখতে এহেন চেষ্টা নাই যা তারা করছে না। ভারতবর্ষকে মুসলিম শূণ্য করার যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা কখনো সফল হবে না।
সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে। ধর্মের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি কোনভাবেই কাম্য নয়। ভারতের মাদরাসাগুলোতে রাাময়ন পড়ানোর যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে তা সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে। মানুষকে সহিংস করে তুলবে। কাজেই এধরনের স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত ভারতকে প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, যদি মাদারাসগুলোতে রামায়ন পড়ানো হয়, তাহলে স্কুলগুলোতে কী কুরআন পড়ানো হবে? যদি না হয় তাহলে উস্কানিমূলক সিদ্ধান্ত থেকে ভারতকে সরে আসতে হবে।