নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার চরখালী ঘাটে বেপরোয়া গতির একটি বাস ফেরিতে ধাক্কায় দেয়। একে ফেরিতে থাকা ৫টি মোটরসাইকেল ও ৫০জন যাত্রী নদীতে পড়ে গেছে। ফেরি দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হলেও এ ঘটনায় এক নারী ও শিশু নিখোঁজ রয়েছেন।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চরখালী প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাসটির চালক বাসুদেব দাসকে (৪০) আটক করেছে।
এ ঘটনার পর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সন্ধা ৭টা থেকে ভাণ্ডারিয়া-খুলনা, ঢাকা-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটাসহ ১১টি রুটের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর দুই পাড়ে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেরিটি চরখালী ঘাটে ভেড়ানো ছিল। এ সময় বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী মেট্রোপলিটন পরিবহনের একটি বাস ফেরিতে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা মঠবাড়িয়া-পিরোজপুরগামী সহারা পরিবহনের একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটির এক তৃতীয়াংশ নদীর দিকে ঝুঁকে পড়ে।
এ সময় ফেরির সামনে থাকা ৫টি মোটরসাইকেল এবং অন্তত ৫০ যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। পরে ফেরিঘাটে থাকা ট্রলার নিয়ে স্থানীয়রা তাদের নদী থেকে উদ্ধার করে। তবে অজ্ঞাত এক নারী ও তার শিশুকন্যা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান মো. সোহেল ফকির এবং সুমন চন্দ্র রায় নামে দুই মোটরসাইকেল চালক।
মো. সোহেল ফকির জানান, তিনি তার শিশুকন্যা ও ভাতিজাকে নিয়ে চরখালী থেকে মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর যাওয়ার জন্য ফেরিতে ওঠেন। এ সময় মোটরসাইকেলটি নদীতে পড়ে গেলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তারা।
অপর মোটরসাইকেল চালক সুমন চন্দ্র রায় জানান, তিনি মঠবাড়িয়া থেকে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন। এ সময় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল নিয়ে নদীতে পড়ে যান। পরে উদ্ধারকারীদের সহায়তায় তিনি উঠতে পারলেও তার মোটরসাইকেলটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহম্মদ হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া বাসচালক বাসুদেব দাসকে আটক করা হয়েছে।