নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : সম্প্রতি গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলে শ্রমিকদের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষের কারণে অনেক কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মালিকরা কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এর কারণ চলমান অর্থনীতির বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ শ্রমিকরা বৈষম্যমূলক অন্যায্য মজুরী মালিক কর্তৃক পাচ্ছে। যা শ্রমনীতি পরিপন্থি বলে গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে অভিমত ব্যক্ত করেন ‘শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক।
বিবৃতিতে তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। সারা দেশের প্রায় দুই শতাধিক কারখানা সাময়িক বন্ধ আছে। আগষ্ট মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে। তবে সরকার মালিক ও শ্রমিকদের যৌথভাবে শ্রমিক অসন্তোষ মোকাবেলা করার জন্য সম্মন্বিত পদক্ষেপ যথাযত ভাবে না নেওয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক বিবৃতিতে আরও জানান, শ্রমিকরা ন্যায় সঙ্গত ভাবে বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ন্যায্য মজুরী চায়্। রেশনিং ব্যবস্থা বাস্তবায়ন চায়, বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা আবাসনের ব্যবস্থা চায়।তিনি বলেন, শ্রমিক শ্রেণির সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ বজায় রেখে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা যায় না। ছাত্র, শ্রমিক, জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েই শ্রমিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য বৈষম্যহীন শ্রমিক রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্যে ৫ই আগষ্ট গণজাগরণ ও গণঅভুত্থান সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো হয়েছে। যার ফলে হাজার শহীদের স্মৃতি অক্ষয় রাখার জন্য শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান ‘শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক জননেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক।