নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার, সকল শূণ্য পদে দ্রুত নিয়োগ, নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি এবং সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচারের দাবিতে রবিবার সকাল ১২ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সরকারী তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, আইন কলেজের শিক্ষার্থী ফারহানা মানিক মুনা, সোনারগা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাছিমা আক্তার, ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ইফাজ ইমতিয়াজ অয়ন্ত, নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী রায়হান শরীফ, সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার, সরকারী তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ সেন, আরো বক্তব্য রাখেন আবির হোসেন, জাহিদুল, মহিবুল্লা, রিপন, কায়েমুদ্দিন, মৌমিতা নুর, নাহদি হাসান, সায়েম প্রমূখ।
নেতুবৃন্দ বলেন, সমাজে যারা অনগ্রসর ও পিছিয়ে থাকা সেই অংশকে মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য আসন সংরক্ষন সামাজিক দায়িত্বের অংশ। সে দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের আধিবাসী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নারী, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা য়ায় না। কিন্তু তারও একটি টার্গেট সময় প্রয়োজন, এটা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে না। দেশে তীব্র বেকারত্ব, সরকারী শূণ্য পদে বছরের পর বছর নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি না করার ফলে শিক্ষা শেষে কাজ না পাওয়ায় ছাত্র সমাজের মধ্যে তীব্র অসনতোষ বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ নাতী- পুতি পর্যন্ত কোটা সংরক্ষন এই অসনতোষকে আরো বাড়িয়ে তুলছে।
নেতৃবৃন্দ সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষর্থীদের উপর হামলা মামলা ও হয়রানী বন্ধের দাবি জানান। কোটা নিয়ে সরকার প্রধানসহ মন্ত্রীদের বির্তকিত বক্ত্যবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও আবেগকে বিবেচনায় নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের দাবি জানান । একই সাথে
আগামীকাল সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।