নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর শাহনাজ বেগম (৪৫) নামে এক গ্রামপুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার ওই মারধর করেন বলে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক, সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
শাহনাজ বেগম বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ১৯ বছর ধরে গ্রামপুলিশ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইউনিয়নের সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী। ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের দাবি, তাকে ‘শাসন’ করার হয়েছে।
অভিযোগে শাহনাজ বেগম উল্লেখ করেন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আরেক গ্রাম পুলিশ সদস্য নাসিমা বেগম তার নামে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দেন। এর জেরে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালনকালে তাকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার। এর কারণ জানতে চাইলে চেয়ারম্যানের হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি মারধরে রক্তাক্ত করেন। প্রথমে তিনি স্থানীয় ফার্মেসি চিকিৎসা নেওয়ার পরেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়।
ভুুক্তভোগীর বড় মেয়ে মহিমা আক্তার বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার মাকে মারধর করে আহত করেই শুধু ক্ষান্ত হননি, আমরা যদি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করি তাহলে তার চাকরি থাকবে না বলে চেয়ারম্যান হুমকি দেন।’
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন, ‘ওই নারী (শাহনাজ বেগম) গ্রামপুলিশ সদস্যসের সঙ্গে আমার পরিষদের অন্য একজনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে কয়েকজন আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। এ কারণে তাকে শাসন করেছি।’
সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেন, ‘গ্রামপুলিশ সদস্যকে মারধরের বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ান উল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামপুলিশ সদস্যকে মারধরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’