নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে ঝলসে যাওয়া নারী সালমা বেগম এর পাশে দাঁড়ালেন সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিক।
মঙ্গলবার ৮ই সেপ্টেম্বর বিকেলে সালাম বেগমের বিষয়ে জানতে পেরে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি চাউল নিয়ে হাজির হোন সালমা বেগমের বড়িতে।
ইউএনও নাহিদা বারিক’কে দেখে আগুনে ঝলসে যাওয়া নারী সালমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ম্যাডাম কি থেকে কি হলো কিছুই বুঝতে পারি নাই। তখন কারেন্ট ছিলো না। অন্ধকারেই আমার ও স্বামীর জন্য ঔষধ আনতে যাইতেছিলাম ঔষধের দোকানে। রাস্তায় পঁচা পানি তাই মসজিদের গেইট ঘেঁষে যাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ একটা গরম তাপ এসে আমার গায়ে লাগলো দুই তিনটা পল্টি খাইয়া পঁচা পানিতে পরে গেলাম কিছুই বুঝতে পাড়ছিলাম না শুধু শরীর জলছে। একটু কষ্ট করে উঠে পাশের একটা বাড়িতে গেলাম তাদের কে বললাম আমার হাত-পা জলছে আমাকে একটু পানি দেন। তারা আমার বাড়িতে খবর দিলো। বাড়ির লোকজন আমাকে বাড়িতে আনার পর দেখতে পেলাম আমার শরীর অনেকটা পুড়ে গেছে। তারপর তাড়াতাড়ি করে শরীরে পানি ঢালতে শুরু করলাম। পরে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে গেলে আমাকে চিকিৎসা দেয় এবং এর পরের দিন ঢাকা বার্ণ উইনিটে পাঠান ওখান থেকে চিকিৎসা শেষে ডাঃ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে এখন বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছি।
সালমা বেগমের কথা শুনে ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, মসজিদের বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা সকলেই মর্মাহত। আপনাদের সান্তনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। চারপাশে ক্ষতিগ্রস্তদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে আছে। তবুও বলছি আপনাদের পাশে আমরা আছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি তালিকায় আপনার নাম নেই। আজ একটা অনলাইন নিউজ প্রোটালে আপনার বিষয় টি জানতে পেরে তরিগরি করে চলে আসলাম। আপনার চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাওয়ার জন্য ৩০ কেজি চাউল নিয়ে এসেছি। তারপরেও যদি কোনো অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমরা আমাদের ফোন নাম্বার দিয়ে যাচ্ছি।
এসময় ইউএনও নাহিদা বারিকের সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।