নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ২৮ অক্টোবর জামাত- বিএনপি মহাসমাবেশের নামে মরণকামড় দিতে চাইবে। সেদিন তারা ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে ঢাকা অবরোধ। নাম দিয়েছে মহাসমাবেশ কিন্তু এটা হল তাদের অবরোধ। সে অবরোধে যা যা করার দরকার তারা তাই করবে। এবং এটা হল তাদের মরণকামড়। সেই কারণে আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ২৮ তারিখে তারাই ঢাকা অবরোধ করে নিবে সেটা হবে না আমরাও সেদিন মহাসমাবেশ করব। সেই সমাবেশে আমরা চাইবো তাদের চেয়ে বেশি জন জমায়েত করবো।
বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজে আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার সবচেয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ। আগামী ২৮ তারিখ আমাদের সমাবেশ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট। ফ্লাইওভার থেকে তিন মিনিটে যাওয়া যায়। শাপলা চত্বরও কাছাকাছি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ঢাকার সবচেয়ে কাছে। আমরা আশা করি নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের সমাবেশে সবচেয়ে বড় সাপোর্ট যাবে।
তিনি আরও বলেন, ওরা এখন দিন তারিখ ঠিক করে দিচ্ছে যে তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। তাহলে আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা কী এখানে বসে থাকবো। আমরা বলেছিলাম ৪ তারিখ সমাবেশ করবো। সেটা হবে। কিন্তু তার আগে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা অবরোধের সেদিন আমরাও ঢাকা দখলে রাখবো।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে আমি সাতচল্লিশ মিনিটে এসেছি। আমার বাসা থেকে আজিমপুর যতক্ষণে যাই তার চেয়ে কম সময়ে আমি নারায়ণগঞ্জ এসেছি। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য।
মির্জা আজম বলেন, ১৩ অক্টোবর কাঁচপুরে যে জনসভাটি হল আমি সেখানে সোনারগাঁয়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে আমি দেখেছি, আওয়ামী লীগ করে গত পনেরো বছরে অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হয়েছেন। আগে যে বাইসাইকেলে চড়ত সে এখন মোটরসাইকেল চালায়, যার মোটরসাইকেল ছিল সে প্রাইভেট কার চালায়। সবার বাড়িতেই বিল্ডিং।
তিনি আরও বলেন, যারা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগ করে তাদের মনমানসিকতায়ও আমি পরিবর্তন দেখেছি। সমাবেশ সফল করতে অনেকেই বায়না ধরে। সেটা নেয়ার জন্য না দেয়ার জন্য। যে সমাবেশের এই কাজটা আমি করে দিতে চাই। এটা বাংলাদেশের অন্য কোন জেলায় দেখা যায় না। আপনারা নিজেদের উপার্জিত অর্থের একটি অংশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, তারা কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই লড়াই সংগ্রাম করতাছে না। তারা তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই এ সকল করছে। তারা একেক সময় একেক ধরনের কথা বলে। তাদের টার্গেট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তারা চায় অন্য কোন অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসুক। অন্য কোন শক্তি ক্ষমতায় এসে দুই তিন বছর কাটাবে তারপর তারা ক্ষমতায়। সুতরাং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে বিএনপিরা আশা কোনদিনই পূরণ হবে না। আমরা জামাত বিএনপিসহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদলের সঞ্চালনায় বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহ, কাচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর সহজেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।