নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : আওয়ামীলীগের এক মন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে বর্তমান সরকার যেন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের কোনো দরদ নেই। বাণিজ্য মন্ত্রীর বক্তব্যে বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে, ব্যাবসায়ীদের কারসাজিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই সরকার বুঝে না বুঝে সমর্থন দিচ্ছে। কৃত্রিম সঙ্কট মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বক্তব্যে বলেছেন জাতীয় পার্টি’র চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এমপি।
মঙ্গলবার ১০ মে বিকেলে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির কো-চেয়ারম্যানদের সাথে ঈদ পরবর্তী এক সভায় জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এই উপনেতা এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, গত সপ্তাহে বাজারে সয়াবিন তেল ছিল না, কিন্তু এখন বিভিন্ন গুদাম থেকে শত শত বোতল সয়াবিন তেল উদ্ধার হচ্ছে। সরকার জ্বালানি তেল, জ্বালানি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে অনেক, মানুষ সংসার চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মানুষের জীবনে স্বস্তি নেই, শান্তি নেই। সাধারণ মানুষ এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে দেশের সাধারণ মানুষ। করোনার কারণে অনেকেই কাজ হারিয়েছে, আবার প্রতিদিন বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তার ওপর প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। খেটে খাওয়া মানুষ অবর্নণীয় কষ্টে আছে, দেখার যেনো কেউ নেই। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে রেশনিং সিস্টেম চালু করতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকার টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে এমন বাস্তবতা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। ওয়ার্ড ভিত্তিক রেশন কার্ড চালুর মাধ্যমে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে।
এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বেলা ১২টায় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিবদের সাথে এক সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি (ঢাকা বিভাগ), আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা (খুলনা বিভাগ), অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (রাজশাহী বিভাগ), ফকরুল ইমাম এমপি (ময়মনসিংহ বিভাগ), অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (চট্টগ্রাম বিভাগ)।