নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার এসআই মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরোদ্ধে মিথ্যা, অপপ্রচার করছে একটি কুচক্রি মহল বলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানায় দক্ষিণ কলাবাগ খালপাড় নিবাসী বৃদ্ধা কমলা বেগম।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা কমলা বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে গত ২৯ শে ডিসেম্বর দুপুরে (ভিডিও বার্তায়) জানায়, আমার বাড়িতে গত ৩রা ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় একদল পুলিশ উপস্থিত হয়ে আমার জমানো কাফনের টাকা হাতিয়ে নিূেয় যায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে যে পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলামের নাম প্রকাশিত হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তিনি সেই দিন আমার বাড়িতে যায়নি। তাছাড়া আমার বাড়িতে যাওয়া পুলিশের এসআইকে রাতের বেলা ঘুমের চোখে আমরা ভালো ভাবে দেখতেও পাইনি। আর এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই শহিদুল ইসলামের ছবি দেখানো হলে বৃদ্ধা কমলা বেগম ও তার ছেলে এবং মেয়ে জানায় এই পুলিশ কর্মকর্তা সেই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলোনা।
প্রসঙ্গত, বন্দর থানার অন্যতম কর্মদক্ষ একজন পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছে এসআই শহিদুল ইসলাম। তার বিরোদ্ধে বন্দরের কিছু নামধারী হলুদ সাংবাদিক মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, জুয়ার আড্ডাবাজ কতিপয় অপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়ে এই মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। কথিত ঐসব হলুদ সাংবাদিকরা ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় সমাজের ভালো মানুষদের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক অভিযোগও রয়েছে পুলিশের তালিকায় । খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, টাকার জন্য ঐ সমস্ত হলুদ সাংবাদিক এক সময় ভূয়া ম্যাজিট্রেট, এক সময় ভূয়া প্রশাসনের কর্মকর্তা সাজে বলেও জানায় বিশ^স্ত একটি সূত্র।
তাছাড়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশকারী ঐ হলুদ সাংবাদিক ইতিপূর্বে বন্দর থানাধীন সাবদী বিবিজোড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ইয়াবা দিপু ওরফে বিপ্লব ওরফে ইয়াবা গিট্টু নামক সন্ত্রাসীকে একজন প্রতিবন্ধি যুবক সোহেলকে ছুরিকাঘাত করার অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করলে সেই কুখ্যাত অপরাধীকে থানা হাজত হতে ছাড়ানোর জন্য তদবির চালিয়ে ব্যর্থ হয়। মূলত এই কারনেই কথিত ঐ সাংবাদিক এসআই শহিদুলের উপর ইর্ষাণিত হয়ে এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে বলে জানাযায়। এ ছাড়াও আরো জানাযায়, কথিত ঐ সাংবাদিক ইতিপূর্বে ফৌজদারী অপরাধ মামলায় জেল খাটা আসামী।
এ ঘটনার বিষয় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফখরুদ্দিন ভূঞা জানায়, এসআই শহিদুলের বিরোদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি আমি দেখেছি। আমি ঘটনার সত্যতার জন্য অভিযোগকারী বৃদ্ধা কমলা বেগমকে থানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, আমাদের বাড়িতে গত ৩রা ডিসেম্বর রাতে গণমাধ্যমে অভিযুক্ত এসআই শহিদুল যায়নি।
অতএব, উপরোক্ত তথ্যের আলোকে প্রমাণিত হয়, এসআই শহিদুল ইসলামের বিরোদ্ধে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণই বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।