নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন সাবদী এলাকায় ড্রেজার ব্যবসায়ীদের উপর হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে বন্দর থানা যুবলীগ নেতা খান মাসুদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বরাতে বাদী জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে বন্দর সাবদী বাজার রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে বন্দর থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়। তবে বন্দর থানার এসআই মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার সূত্রমতে, বন্দর এলাকায় ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ব্যবসা করে আসছেন মৃত ফিরোজ মিয়ার পুত্র মোঃ রয়েল।
ঘটনার দিন সাবদী বাজার রোড এলাকায় বালুর জন্য পাইপ বসাতে গেলে যুবলীগ নেতা খান মাসুদের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৯/১০ জন লোক গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুইজন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহতরা হলেন,খলিলুর রহমানের পুত্র রমজান, মৃত সেলিমের পুত্র সোহাগ, জামালউদ্দিনের পুত্র জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
এ বিষয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ী মোঃ রয়েল জানান,খান মাসুদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী গ্রুপ সদস্য নুরবাগ এলাকার রাজু ওরফে ষ্টান রাজু, একই এলাকার নুরুজ্জামান, ছনখোলা এলাকার মামুন, নোয়ানগর এলাকার সুরা প্রধানের পুত্র লাভলু, শহিদুল্লাহর পুত্র আফজ্জাল, ওয়াজদ্দিনের পুত্র তোফাজ্জল, বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকার আমানউল্লাহ সহ আরো ৪০/৪৫ জন সন্ত্রাসী পাইপ ভাংচুর করে অগ্নি সংযোগ করে। এছাড়াও পাইপ বহনকারী ট্রাক ঢাকা মেট্রো-ন-২১-৫৫৪২ এবং ২ টি হোন্ডা এপাচি আর্টিয়ার ঢাকা মেট্রো ল-৩২-৫৯১৩ নং মোটর সাইকেল দুটি নিয়ে যায়। এতে ২৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে এবং ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে সন্ত্রাসী চক্র।
ড্রেজার মালিক রয়েল জানান, বৈধ ভাবে ব্যবসা করতে গিয়ে খান মাসুদের নেতৃত্বে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। থানায় গেলেও এ বিষয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি। খান মাসুদ বাহিনীর ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবন যাপন করছি।
এদিকে এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানাগেছে, খান মাসুদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ কথা বলতে পারে না। কেউ ব্যবসা করতে চাইলে হামলা মামলার শিকার হতে হয়। তার নেতৃত্বে এলাকায় ত্রাস কিশোর গ্যাং বাহিনীর উৎপত্তি। তার এলাকায় একক আধিপত্য চলে।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া এসআই মিলন মুঠোফোনে জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্লাস্টিকের পাইপ ও ট্রাক ভাংচুর কেহ করেছে দেখতে পেয়েছি। বাদীপক্ষ বলেছে প্রায় ৮০ জন নাকি এসেছে। তারা সবাই খান মাসুদের লোক। তারা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।