নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের পাশে বাগবেড় মৌজায় নিরীহ লোকজনের জমিতে জোরপূর্বক বাউন্ডারী দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধা দেয়ায় জমির মালিকদের নামে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমান নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভগবান নগর এলাকার আবুল হোসেন বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর রহমান। বাগবেড় এলাকায় ১৫- ২০ বছর ধরে জাল-জালিয়াতি ও জমির ভুয়া মালিক সাজিয়ে দলিল সম্পাদন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। প্রতিবাদ করলে জমির মালিকদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
বাড়িয়াছনি এলাকার বাসিন্দা ইমরান হাসান জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার সোনাবিবি এলাকার মৃত ওমেষ চন্দ্র দাসের ছেলে বাদল চন্দ্র মনি ঋষি দাস, রূপগঞ্জের বাগবেড় গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে মো. রুহুল আমিন, ব্রাহ্মণগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে জহুরুল ইসলাম পলাশ, বাড়িয়াছনি এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে ইমরান হাসান, পিতলগঞ্জের বিল্লাল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন, গোলাকান্দাইল এলাকার আরজু মিয়ার মেয়ে বিউটি বেগম, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি খাগাটিপাড়া এলাকার মোবারক হোসেনের মেয়ে মাসুদা খাতুন, নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ এলাকার বিষুর ছেলে বিকাশ, সোনারগাঁয়ের বাগমেলা গ্রামের জ্ঞান চন্দ্রের ছেলে গৌরাঙ্গ, নিতাইগঞ্জের গণেশের ছেলে শিপন, রূপগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও দক্ষিণ নবগ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের বাগবেড় মৌজায় জমি রয়েছে। তাদের কাছ থেকে জমি না কিনেই মিজানুর রহমান সাজানো মামলা দিয়ে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে জমিতে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করছেন। জমি প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে না কিনে তিনি এলাকায় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে জমির
মালিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে শনিবার বিকেলে পূর্বাচলের জলসিঁড়ি সড়কে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার বাসিন্দা বাদল চন্দ্র মনি ঋষি দাস জানান, আমার জমি দখলে নেয়ায় রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে মিসকেস মামলা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে মিজান।
বাগবেড় এলাকার মো. রুহুল আমিন জানান, আমার সাথে মিজানের কোনো জমি নিয়ে ঝামেলা নেই। তাছাড়া তিনি জমি কিনেছেন জালাল উদ্দিন ও হেলালউদ্দিনের কাছ থেকে। আর আমি জমি কিনেছি বাদল চন্দ্র মনি ঋষি দাসের কাছ থেকে। মিজান ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জানান, সকল অভিযোগ সঠিক নয়। তাছাড়া আমার কেনা জমির কাগজে কিছুটা সমস্যা রয়েছে।