নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : পুলিশ হেফাজতে দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনার জেরে এবার চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমানকে সিএমপির উপ—পুলিশ কমিশনারের (পশ্চিম) কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। তার স্থলে চান্দগাঁও থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে মো. ছবেদ আলীকে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি উপ—পুলিশ কমিশনারের (পশ্চিম) কার্যালয়ে পরিদর্শক (অপরাধ) পদে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে তাকে বদলি করা হয়।
মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর বিকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিএমপির এডিসি পিআর স্পিনা রানী প্রামাণিক।
এর আগে শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় গত সোমবার নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছার আদালতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলামসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন মৃত শহীদুল্লার স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। ওই মামলায় চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক মনিবুর রহমানকেও আসামি করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
একই ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তারা হলেন চান্দগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ আলী ও এ টি এম সোহেল রানা।
আদালতে এক নারীর দায়ের করা মামলায় গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ১ কিলোমিটার এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে মারা যান দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ। তবে পুলিশের দাবি, শহীদুল্লাহ হার্টের রোগী ছিলেন। সেই রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে চান্দগাঁও থানার ওসির কক্ষে বসানো হয়। এ সময় তার সাথে ছিলেন পরিবারের কয়েকজন সদস্যও। শহীদুল্লাহ হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের এক সদস্য তাকে ইনহেলার স্প্রে দেন। অবস্থার অবনতি হলে তার সঙ্গে যাওয়া ছোট ভাই শহীদুল্লাহকে পাঁচলাইশ এলাকার বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শহীদুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাওয়া শহীদুল্লাহর বড় ছেলে আসিফ শহীদের অভিযোগ, বাসা থেকে তার বাবাকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাকে ইনহেলার স্পে্র করতে দেয়নি পুলিশ। থানা ভবনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তার বাবা। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ হেফাজতে শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একই সঙ্গে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ওই নারীকে তার পরিবার চেনেন না বলেও সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেন আসিফ।