বেনজিরাবাদ বিভাগের কমিশনার আব্বাস বালোচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং যাত্রীরা এখনো একটি বগিতে আটকা পড়ে আছে।
আহতদের নবাবশাহের পিপলস মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে প্রায় এক হাজার লোকের চিকিৎসা করা যেতে পারে বলে জানা গেছে।
ট্রেনটিটে ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশিসংখ্যক লোক বহন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ আহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকাজে ১০ জন স্টেশন হাউস অফিসার, চার জেলার পুলিশ সুপার (ডিএসপি) এবং শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন। পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের বিপুলসংখ্যক সদস্যও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল আসিম মুনিরের জারি করা বিশেষ নির্দেশের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীও দুর্ঘটনাস্থলের কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বগি থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য এই মুহূর্তে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের মতে, দুর্ঘটনার পর আশপাশের হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ফেডারেল রেলওয়ে ও বিমান পরিবহন মন্ত্রী খাজা সাদ রফিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কেউ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আবার এটি একটি যান্ত্রিক ত্রুটিও হতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা ত্রাণ সরবরাহ করব। তারপর তদন্ত করব।’ এ ছাড়া সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
প্রসঙ্গত ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের একটি খারাপ রেকর্ড রয়েছে। গত এক দশকে দেশটি বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।
সূত্র : জিও নিউজ