নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল (৪৫)কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো দুইজন।
গত শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুন্দসী গ্রামে সমির সিকদারের বাড়ির পাশে তিনি হামলার শিকার হন। সিকদার মোস্তফা কামাল লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ৯ মে রাতে মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরু সিকদারকে দূর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সিকদার মোস্তফা কামাল ও সিরাজুল ইসলাম সিরু সিকদার আপন ভাই। সিরু হত্যার ২৮ বছর পর খুন হলেন মোস্তফা কামাল।
এ ঘটনার পর সিকদার মোস্তফা কামালের লোকজন একই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার লিপনের বাড়িতে গিয়ে গুলি ছোড়ে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। তারা হলেন- মঙ্গলহাটা উত্তরপাড়ার লিটন শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ (২৫) ও পান্নু মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা (৪০)। তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, শুক্রবার রাতে সমির সিকদারের বাড়িতে শালিস বৈঠকের কথা ছিলো। শালিসে অংশ নিতে সাবেক চেয়ারম্যান মোটরসাইকেলে ওই বাড়িতে যান। রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল রেখে তিনি ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। একটু পরে শালিস থেকে বেরিয়ে মোটরসাইকেলের কাছে গেলেই আগে থেকেই থেকে ওৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে শালিসের লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা যাওয়ার পথিমধ্যেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে নিহত সাবেক চেয়ারম্যানের লাশের পোর্স্টমর্টেম নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলহাটা গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে তার দাশ দাফন করা হয়।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, মঙ্গলহাটা গ্রামে সামাজিক দ্বন্দের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা হামলাকারীদের বিষয়ে প্রায়শই নিশ্চিত। দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।