নিউজ ব্যাংক ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সীমানা প্রাচীর দখল করে টাইলস ও টিন লাগিয়ে হোসিয়ারী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্বপন নামে জনৈক ব্যবসায়ী। সম্প্রতি এ ঘটনায় গোটা থানা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যবসায়ী জানান, কিছুদিন আগে শুনলাম পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার নিরাপত্তার স্বার্থে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খবির আহাম্মদ নামে এক ব্যবসায়ী সাবলীজে নেয়া অন্তরা হোসিয়ারী নামক প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় । এ কারণে ওই ব্যবসায়ী অনেকটা নিঃশ্ব হয়ে পড়ে ।
অথচ নিরাপত্তার কথা বলে ভেঙ্গে ফেলা সেই দোকানের জায়গায় দেয়া থানার দেয়ালে টাইলস বসিয়ে এবং টিনের চাল লাগিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জুড়ে বসেছে সূচনা হোসিয়ারীর মালিক স্বপন মিয়া । এখানে প্রশ্ন হচ্ছে খবির আহাম্মদের হোসিয়ারীটি ভাঙ্গা হলো থানার নিরাপত্তার অযুহাতে কিন্তু সেই নিরাপত্তার জায়গা অর্থাৎ সরকারি দেয়াল দখল করে স্বপন গং টাইলস ও টিনের চাল লাগিয়ে ব্যবহার করছে তাতে নিরাপত্তার অভাব নেই । বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্নের কারছে।
জনশ্রুতি উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার তদন্ত ওসি মোস্তাফিজুর রহমান অন্তরা ফ্যাশনের মালিক খবির আহাম্মদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা চেয়ে না পেয়ে তার হোসিয়ারীটি সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে কৌশলে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় । সচেতন মহলের মতে,কত টাকার বিনিময়ে কিংবা কোন স্বার্থে সদর মডেল থানার তদন্ত ওসি মোস্তাফিজ সূচনা হোসিয়ারীর মালিক স্বপনকে থানার বাউন্ডারী দেয়াল ব্যবহারের অনুমুতি দিলেন ।
এ ব্যাপারে তদন্ত ওসি মোস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,থানার বাউন্ডারী দেয়ালে টাইলস আর টিনের চাল লাগিয়ে কেউ ব্যবসা করছে আমার তা জানা নেই । তবে এইরকমটা হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
অপরিদকে থানার বাউন্ডারী দেয়াল দখল করা সূচনা হোসিয়ারীর মালিক স্বপন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,থানার অনুমুতি নিয়েই আমি টাইলস আর টিনের চাল লাগিয়েছি(যার ভয়েস রেকর্ড রয়েছে) । সাংবাদিক সাহেব আমিতো একটু বাইরে আছি হোসিয়ারীতে ১ঘন্টার মধ্যে আসবো যদি একটু চা খেয়ে যেতেন তাহলে ভাল হতো ।
তবে তদন্ত ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের ৪দিন পরেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানার দেয়াল ব্যবসায়ীদের দখলেই রয়েছে । বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের তদন্তপূর্বক হস্তক্ষেপ নেয়া অত্যাবশ্যক বলে সচেতন মহল মনে করছে।