নিউজ ব্যাংক ২৪. নেট : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিএনপির ৩৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৭/১৮ জনের বিরুদ্ধে রবিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হাই রাজুকে।মামলার বিষয়টি সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।
এর আগে শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা গোপন মিটিং করছে এমন গোপন সংবাদ ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষায় ১১ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুড়লে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি অবিষ্ফোরিত ককটেল ও একটি বিষ্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কিছু লোক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের শিমরাইল মোড়ে অবরোধ করবে এবং সেখানে বাঁধা দিলে ককটেল বিষ্ফোরণ করা হবে। সেই ককটেলের একটি অংশ সিআইখোলা এলাকায় ভাগাভাগি করা হচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদ ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ আতœরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়লে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, এটি যে সাজানো ঘটনা তার কোন সন্দেহ নেই। পুরো মামলা সাজানো। গায়েবি মামলা এটি। ওপেন চ্যালেঞ্জ এমন ঘটনা ঘটেছে কেউ প্রমান দিতে পারবেনা। গুলি হলো, ককটেল ফুটলো কেউ আওয়াজ পেলোনা?
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, শনিবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলা করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে তারা। এতে আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ আত্মরক্ষায় ১১ রাউন্ড গুলি ছুড়লে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয় নি।